২০১১ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নয়নের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য, দাবি মন্ত্রীর

electric

কলকাতা: ২০১১ সাল থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবায় উন্নয়নের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিং নিয়ে অভিযোগের আবহে সাংবাদিক বৈঠকে করে এ কথা জানালেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

মঙ্গলবার বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণ ক্ষমতার উন্নয়নের জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাপ, সৌর এবং জলবিদ্যুৎ ক্ষমতা বর্তমানে ৯,৫২১ মেগাওয়াট। সেখান থেকে বিদ্যুতের মোট ক্ষমতা ১৩,৬৮৯ মেগাওয়াটে বৃদ্ধির জন্য আগামী কয়েক বছরে আরও বিনিয়োগ করা হবে।

মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, চাহিদা পূরণের জন্য রাজ্যের হাতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের ৮ জুন সর্বোচ্চ চাহিদা রেকর্ড করা হয়েছিল এবং তা সফল ভাবে পূরণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় লোডশেডিংয়ের মূল কারণ ঝড়। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই একটা অংশে লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে জোরালো অভিযোগ তুলেছেন। লোডশেডিং নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তোলেন, ‘‘লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার।’’ একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগামী দিনে জনগণ এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকরা রাস্তায় নামবেন।’’

বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সারা দিনে ৩ থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি। উল্টে কোলাঘাট, ব্যান্ডেলে বন্ধ করেছেন।’’ এর পরই মন্ত্রীর এই বক্তব্য।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বাম আমলে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৮০ লক্ষ। আজ গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ। বাম আমলে সর্বোচ্চ প্রয়োজন ছিল ৪০৮৫ মেগাওয়াট। আর আজ সর্বোচ্চ প্রয়োজন ৯২০০ মেগাওয়াট। নিয়ন্ত্রক সম্মতির কারণে কোলাঘাট প্ল্যান্টে প্রতিটি এবং ব্যান্ডেলে একটি তাপ বিদ্যুৎ ইউনিট পর্যায়ক্রমে বন্ধ করেছে রাজ্য। আমাদের সরকার আসার পর সাগরদিঘিতে দুটি ইউনিট বাড়িয়েছে। ডিপিএলে একটি ইউনিট বাড়িয়েছি। সাগরদিঘিতে ৬৬০ মেগা ইউনিট এর কাজ চলছে। শেষ ১১ বছরে ১,২৫০ মেগাওয়াটের নতুন তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন ট্রান্সমিশন এবং ডিস্ট্রিবিউশন পরিকাঠামো তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এ ছাড়াও একটি ১,৭৬০ মেগাওয়াট সৌর ক্ষমতা, তুরগা পাম্পড স্টোরেজ পাওয়ার প্লান্ট থেকে ১,০০০ মেগাওয়াট এবং ভুটান থেকে ২৩০ মেগাওয়াট এবং তিস্তা হাইডেল প্রকল্প থেকে ১১৮ মেগাওয়াটের ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমবে কি? মুখ খুললেন মন্ত্রী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.