আইটিআর ফাইল করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন, নইলে পস্তাতে হতে পারে

income

চাকরিজীবী হোন বা ব্যবসায়ী, আয়কর ফাইল রিটার্ন করা জরুরি একটি কাজ। এই কাজটি করার সময় প্রতিটি পদেই সতর্কতা বজায় রাখা উচিত। নইলে সামান্যতম ভুলের জন্য নোটিশ ধরাতে পারে আয়কর বিভাগ।

আগামী ৩১ জুলাই একক করদাতাদের জন্য আইটিআর ফাইল করার শেষ দিন। অর্থাৎ, খুব বেশি দিন আর হাতে নেই। এমন পরিস্থিতিতেও অনেকেই এখনও ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেননি। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে আইটিআর ফাইল করার তারিখ কিন্তু বাড়ানো হয়নি। ফলে আপনি যদিও এখনও আইটিআর ফাইল না করে থাকেন, সেটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করে ফেলা দরকার। কারণ, দিন যত ফুরিয়ে আসবে, পোর্টালে ভিড় বাড়বে ততই। সার্ভারও ডাউন হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইটিআর ফাইল না করা হলে যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে আয়কর বিভাগ। তাতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তবে আইটিআর ফাইল করার সময় আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে আইটিআর ফর্ম পূরণ করা উচিত নয়। সমস্ত বিবরণ এবং তথ্য হাতের কাছে মজুত রেখেই আইটিআর ফাইল করতে হবে। আইটিআর ফাইল করার আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

চাকরিজীবীদের জন্য

আপনি যদি চাকরি করেন, তা হলে আইটিআর ফাইল করার সময় আপনার ফর্ম-১৬ লাগবে। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে এই ফর্ম নিতে হবে। এই ফর্মে, আপনাকে আপনার বেতনের কর সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দিতে হবে।

তথ্য সংশোধন

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার আগে আপনাকে অবশ্যই ২৬এএস ফর্ম চেক করতে হবে। এই ফর্মে, আপনি কর সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পাবেন। আপনার সমস্ত বিবরণ সঠিক কিনা তা এই ফর্মটিতে পরীক্ষা করতে হবে। আপনি যদি কোনো ভুল তথ্য খুঁজে পান তবে আপনি এটি সংশোধন করতে পারেন। এই তথ্যগুলি সংশোধন করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে৷

লেনদেনের তথ্য

ফর্ম ২৬এএস চেক করার পরে আপনাকে অবশ্যই এআইএস (বার্ষিক তথ্য বিবৃতি) ফর্মটি পরীক্ষা করে নিতে হবে। এই ফর্মে, একটি বছরে আপনার লেনদেনের তথ্য পাবেন। এতে আপনার বেতন, ভাড়া, সুদ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্যও রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন যে কোনো তথ্য এতে অনুপস্থিত, তবে আইটিআর ফাইল করার আগে আপনাকে তা জানাতে হবে।

মূলধন লাভ

আপনি যদি কোনো স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন, তা হলে আপনাকে মূলধন লাভের বিবৃতিও দিতে হবে। আপনি নিজের ব্রোকারের কাছ থেকে মূলধন লাভের বিবরণী পরীক্ষা করতে পারেন। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করলেও আপনাকে সেই তথ্য দিতে হবে।

আয়ের উৎস

কোনো করদাতা অন্য কোনো উৎস থেকেও আয় করতে পারেন। ফলে তাঁদের আয়ের সব উৎস সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। এমনকি আপনি সুদবাবদ যে টাকা পেয়েছেন, সেটাও উপার্জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আপনি এই তথ্য আপনি কোনো ভাবেই গোপন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিমা কেনার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.