স্বাস্থ্যবিমা কেনার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত

health insurance

স্বাস্থ্যবিমার (Health Insurance) কদর বেশ বাড়ছে। প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্যবিমা। স্বাস্থ্যজনিত যে কোনো ধরনের সঙ্কটকালীন অবস্থায় এর প্রয়োজনীয়তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। হাসপাতাল খরচ, ওষুধের খরচ থেকে আনুষাঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সব কিছুরই টাকা পাওয়া যায় স্বাস্থ্যবিমা থেকে। তবে স্বাস্থ্যবিমা করানোর আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা উচিত।

কভারেজ বিভিন্ন ধরনের

যে কোনো দুর্ঘটনা বা রোগের শিকার হলে শুধু চিকিৎসায় টাকা খরচ হয় না, চিকিৎসার পরও অনেক টাকা খরচ হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিমা খুবই সহায়ক বলে প্রমাণিত। একাধিক রকমের স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। সেগুলির সুরক্ষার ধরনও ভিন্ন। ফলে স্বাস্থ্যবিমা করানোর সময় সে বিষয়ে বিশদ জেনে নেওয়া জরুরি। নইলে দরকারের সময় বিপাকে পড়তে হতে পারে বিমাকারীকে।

আপনার যদি স্বাস্থ্যবিমা থাকে, তা হলে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। স্বাস্থ্যবিমা হাসপাতালে ভর্তি, সার্জারি এবং ওষুধ ইত্যাদির খরচ কভার করে। আপনার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সাহায্য করে। প্রতিটি কোম্পানির স্বাস্থ্যবিমা পরিকল্পনা আলাদা। এমন পরিস্থিতিতে, কোনো স্বাস্থ্যবিমা নেওয়ার আগে আপনার সতর্ক হওয়া উচিত।

প্রিমিয়াম এবং কভারেজ

প্রতিটি স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানির নিজস্ব নিয়ম রয়েছে এবং তারা সেই নিয়ম মেনে পলিসি তৈরি করে। একটি নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম দেওয়ার পরে আপনি প্রতি বছর ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যসুরক্ষা কভারেজ পেতে পারেন। আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে, কত টাকার প্রিমিয়ামে আপনি কত টাকার কভারেজ পাচ্ছেন।

এ ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার জন্য ভালো করে শর্তাবলি পড়ে নিতে হবে। এর জন্য কখনোই শুধুমাত্র বিমা এজেন্টের কথার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। বিমা কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে এই সমস্ত শর্তাবলি বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যেতে পারে। এর প্রতিটি ধারা বুঝতে হবে। এর পরে আপনাকে প্রিমিয়াম দিতে হবে। গুরুতর অসুস্থতা, আগে থেকে থাকা রোগ এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোম্পানির নিয়ম সম্পর্কে জানার পরেই কোনো স্বাস্থ্যবিমা পলিসি কেনা উচিত।

সঠিক তথ্য

স্বাস্থ্যবিমা পলিসি কেনার সময় কোম্পানি আপনার মেডিক্যাল রেকর্ড চাইবে। সেসময় সঠিক তথ্য দিতে হবে। আপনি যদি কোনো ভুল তথ্য দেন, তা হলে স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানি আপনার দাবি মেটাতে অস্বীকার করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনি চিকিৎসার সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

আরও পড়ুন: পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো কি সঠিক সিদ্ধান্ত?

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.