অতিমারীর জের কাটিয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে ট্রাকটর ও দুচাকার গাড়ির

বিবি ডেস্ক : অতিমারীর জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে গড়ি শিল্প। সেই জায়গায় জুন মাসে কিছুটা হলেও বাজার ফিরে পেতে শুরু করেছে ট্রাকটর এবং দুচাকার গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি।

গ্রামীণ বাজারের উপর নির্ভর এই দুটি গাড়ির চাহিদা আবার বাড়তে শুরু করেছে। কারণটাও খুব স্পষ্ট। শহরের তুলনায় গ্রামে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেশ কম। তাছাড়া এবার বর্ষাও সঠিক সময়ে এসেছে। সরকার কৃষকদের জন্য বেশ কিছু আর্থিক সুবিধার কথাও ঘোষণা করেছে। ফলে কৃষকরা আবার কৃষিকাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিক্রি বাড়ছে ট্রাকটরের।

এ বছর জুন মাসে ট্রাকটার বিক্রি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদনও বেড়েছে গত ১৮ মাসের থেকে বেশি হারে। ট্রাকটর প্রোডিউসার অ্যাফিলিয়েশন মনে করছে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ট্রাকটার উৎপাদনের পরিমাণ ৫ শতাংশ বাড়বে।

মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার ট্রাকটর বিভাগের প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সিক্কা জানিয়েছেন, মাসে ৩৬ হাজার ট্রাকটার বিক্রি হয়েছে, যা প্রায় কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের ৯৫ শতাংশ।

অন্যদিকে দুচাকার গাড়ি বিক্রিও বেড়েছে। সংক্রমণ এড়াতে মানুষ গণপরিবহণ এড়িয়ে চলছেন। তা ছাড়া যাত্রীর সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে গন্তব্যে পৌঁছতে। সে কারণে দুচাকার গাড়ি উপর নির্ভরশীল পড়ছেন মানুষ। সে কারণে দুচাকার গাড়ির চাহিদা বাড়ছে।

পরিস্থিতি কেন বাধ্য করছে দুচাকার গাড়ি কিনতে তা জানিয়েছেন কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক ব্যক্তি। শান্তম মুখার্জি নামে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘ আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর প্রথম প্রথম বাসেই যাতায়াত শুরু করেছিলাম। কিন্তু বাসে সিট অনুযায়ী লোক নেওয়ার ফলে অধিকাংশ সময়ই বাস ধরা যেত না। ফলে অফিস পৌঁছাতে দেরী হয়ে যেত। কিন্তু যা পরিস্থিতি, এখন এ জন্য যদি চাকরিটা যায় তা হলে বিপদ হবে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর গয়না জমা রেখে লোন গিয়ে গাড়ি কিনতে হয়েছে।’’

বাজাজ অটোর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা জানিয়েছেন, এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সংখ্যা যদি কমত তবে দুচাকার গাড়ির চাহিদা আরও দ্রুত বাড়ত। তিনি জানিয়েছেন, যাই হোক না কেন চাহিদা আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে। এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের ফলে উৎপাদন এবং চাহিদা দুটোকেই ধাক্কা খেয়েছে।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.