রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৩ দিনের মুদ্রানীতি বৈঠক শুরু, নজরে যে সব বিষয়

RBI

নয়াদিল্লি: সোমবার শুরু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India, RBI) তিন দিনের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক। মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ৬ শতাংশের নির্ধারিত সীমার উপরে। স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের এক বার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোর পথ ধরে কি না, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহল।

তা হলে কি সুদের হার বাড়াবে আরবিআই?

শেষ তিনটি ত্রৈমাসিকেরও বেশি সময় ধরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি আরবিআই-এর উচ্চ সহনশীলতা সীমার উপর দিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে গত মে মাস থেকে একাধিক বার মূল সুদের হার (repo rate) বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এই সময়কালে ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে রেপো রেট এখন ঠেকেছে ৫.৯০ শতাংশে। কিন্তু তার পরেই মুদ্রাস্ফীতির হার আশাব্যঞ্জক নয়। আগের থেকে কিছু কমলেও অক্টোবর মাসেও খুচরো মুল্যস্ফীতি ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৭.৪১ শতাংশ।

বলে রাখা ভালো, ২০১৬ সালে প্রবর্তিত হয় নমনীয় মুদ্রাস্ফীতি টার্গেটিং পরিকাঠামো (flexible inflation targeting framework)। এই কাঠামোর অধীনে, ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি পরপর তিন ত্রৈমাসিকের জন্য ২-৬ শতাংশের সীমার বাইরে থাকলে ধরে নেওয়া হয়, মূল্যবৃদ্ধি পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে আরবিআই।

মুদ্রানীতি কমিটির বিশেষ বৈঠক

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) নির্ধারিত সূচির বাইরেও গত নভেম্বরের শুরুতে একটি বৈঠকে বসে। সেখানে মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনের খসড়া নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) অ্যাক্ট ১৯৩৪-এর ৪৫জেডএন ধারার অধীনে ওই বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক যদি নিজের মুদ্রাস্ফীতি-লক্ষ্য নির্ধারণের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, এই ধারাটি সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।

বৈঠকের বিজ্ঞপ্তিতে মুদ্রানীতি কমিটির ৭ নম্বর ধারা ও ২০১৬ সালের আর্থিক নীতি আইনেরও উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০১৬-র ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে সরকারের কাছে পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা ও খসড়া তৈরির জন্য স্বাভাবিক নীতি প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে একটি পৃথক বৈঠকের প্রয়োজন। তবে ওই বিশেষ বৈঠক সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাংককে ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হওয়া পাঁচ বছরের জন্য খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশের ওপর এবং নীচের মার্জিনের মধ্যে রাখতে বলেছে। কিন্তু, বারবার দেখা যাচ্ছে, সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ধাপে ধাপে রেপো রেট বৃদ্ধি করা হলেও খুচরো মূদ্রাস্ফীতি বা মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তা অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চ সহনশীলতার স্তরের ওপরেই রয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩ দিনে বৃদ্ধি প্রায় হাজার টাকার! সোনার দাম বাড়ার নেপথ্য কারণ কী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.