মারুতি সুজুকির পর টাটা মোটরস, গাড়ির দাম বাড়াচ্ছে নতুন বছরে

tata motors

বিবি ডেস্ক: বছর ঘুরলেই যাত্রীবাহী গাড়ির (passenger vehicle) দাম বাড়াতে চলেছে টাটা মোটরস (Tata Motors)। আগামী মাস থেকে দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে সংস্থার এক শীর্ষকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট মডেলগুলিকে কঠোর নির্গমন (emission) নিয়মগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ। যা আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।

কী কারণে দাম বাড়ানোর ভাবনা

পিটিআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে টাটা মোটরসের যাত্রীবাহী যান এবং বৈদ্যুতিক যান বিভাগের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র বলেছেন, মূল্য সংশোধন পণ্যের দামের প্রভাবকেও অফসেট করবে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে উঁচুতে রয়ে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাটারির দাম বেড়েছে, কিন্তু তার প্রভাব বাজারে পড়েনি। তাঁর কথায়, “সুতরাং আমরা পণ্যের দামের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট প্রভাবের কিছু অবশিষ্টাংশের ভিত্তিতে এই বৃদ্ধির মূল্যায়ন করছি। ব্যাটারির দাম এবং নতুন নিয়মগুলিও বৈদ্যুতিক যানের (EV) দিকে প্রভাব ফেলেছে”।

এ ছাড়াও, নতুন নির্গমন নিয়ম মেনে চলার জন্য মডেল পরিসরের রূপান্তর করার জন্য একটি খরচ জড়িত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আইসিই এবং ইভি উভয়ের জন্য এই কারণগুলির জন্য আগামী মাসে সম্ভাব্য দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি”।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পাঞ্চ, নেক্সন, হ্যারিয়ার এবং সাফারির মতো মডেলের গাড়ি বিক্রি করে টাটা মোটরস। পাশাপাশি, টিয়াগো ইভি (Tiago EV) এবং নেক্সন ইভি (Nexon EV)-র মতো মডেলগুলির নিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িবাজারে তাদের অংশীদারিত্ব যথেষ্ট।

গাড়িতে জুড়ছে একাধিক ডিভাইস

জানা গিয়েছে, এ বার থেকে রিয়েল-টাইম ড্রাইভিং নির্গমন মাত্রা পরীক্ষার জন্য যানবাহনগুলির একটি অন-বোর্ড সেলফ-ডায়াগনস্টিক ডিভাইস থাকতে হবে গাড়িতে। এই নিয়ম কার্যকর হবে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে। নির্গমনের উপর নিরবচ্ছিন্ন নজর রাখতে ডিভাইসটি ক্রমাগত নির্গমন মানগুলি যেমন অনুঘটক রূপান্তরকারী এবং অক্সিজেন সেন্সরগুলি পূরণের জন্য মূল অংশগুলি পর্যবেক্ষণ করবে।

এমন একটি পরিস্থিতিতে যেখানে নির্গমনের সীমা অতিক্রম করে, ডিভাইসটি লাইটের মাধ্যমে সতর্কতা নির্দেশ করবে। এ ধরনের সতর্কতা আসার পর গাড়িটিকে সার্ভিসে পাঠানো বাধ্যতামূলক হবে।

একই সঙ্গে, জ্বালানি পোড়ানোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, যানবাহনগুলিতে থাকবে প্রোগ্রাম করা ফুয়েল ইনজেক্টর। যা পেট্রোল ইঞ্জিনে ইনজেকশনের সময় এবং জ্বালানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবে।

এমনকি গাড়ির ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টরগুলিকেও থ্রটল, ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট অবস্থান, হাওয়া নেওয়ার চাপ, ইঞ্জিনের তাপমাত্রা এবং নিষ্কাশন থেকে নির্গমনের বিষয়বস্তু (পার্টিকুলেট ম্যাটার, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার) নিরীক্ষণের জন্য আপগ্রেড করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মারুতি সুজুকিও জানুয়ারি থেকে গাড়ির দাম বাড়ানোর ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৩ দিনের মুদ্রানীতি বৈঠক শুরু, নজরে যে সব বিষয়

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.