খবর
পাকিস্তান বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের চা শিল্প

বিবি ডেস্ক : কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতেকে চাপে রাখার জন্য বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্তে সে দেশের বাজার হাতছাড়া হবার আশঙ্কায় উত্তরবঙ্গের চা শিল্প।
চা শিল্প সংস্থাগুলির আশঙ্কা, পাকিস্তানের বাজার বন্ধ হলে শুধু ক্ষতির মুখে পড়বে না চা শিল্প, ভবিষ্যতে বাজার খুলে দিলে নতুন করে বাজার ধরাও কঠিন হয়ে যাবে। এই সময় অন্যান্য চা রপ্তানিকারী দেশগুলি পাকিস্তানের বাজারে জাঁকিয়ে বসবে।
উত্তরবঙ্গে উৎপাদিত চায়ের মধ্যে সিটিসির কদর রয়েছে পাকিস্তানে। প্রতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় ২৮ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয় সে দেশে। চলতি আর্থিক বছরে ৬মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়েছে।
শিলিগুড়ি টি অকশন সূত্র জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের চা ১৭২.২৩টাকা কেজি এবং তরাইয়ের চা ১৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে জুলাই মাস পর্যন্ত। চা শিল্প সংস্থাগুলি জানিয়েছে এই চা প্রায় দ্বিগুণ দরে বিক্রি হয় পাকিস্তানে।
তবে, ক্ষতি হলেও দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চা শিল্পপতিরা।
নর্থবেঙ্গল টি প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর শীল জানিয়েছে, ‘‘পাকিস্তানে রপ্তানি করতে না পারাটা ব্যবসায়িক দিক থেকে অনেকটাই ক্ষতি। সহজে এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়, তবে দেশের অখন্ডতা সবার আগে।’’
পাকিস্তানে চা রপ্তানি করা না গেলে সেই বাজার ধরে নেবে নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যেহুত উত্তরবঙ্গে সঙ্গে নেপালের আবহাওয়া এবং ভৌগলিক অবস্থান অনেকটাই এক, তাই চায়ের গুণগত মানে তেমন একটা পার্থক্য না। দামও অনেকই কম। ফলে নেপাল যদি বাজার ধরে নেয় তবে বাজার ফিরে পাওয়া বেশ চাপের বলে মনে করছে চা শিল্প সংস্থাগুলি।
আশঙ্কায় রয়েছে ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতিগুলোও। ভারতে উৎপাদিত চায়ের ৫০ শতাংশ ক্ষুদ্র চা বাগানগুলির। রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারের জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চা উৎপাদক সংস্থাগুলি। এই পরিস্থিতি পকিস্তানের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে সংস্থাগুলি।
সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ জোনের চেয়ারম্যান আনন্দ আগরওয়াল জানিয়েছেন, ‘বর্তমান সময়ে চা শিল্প মন্দা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে বড়সড় ধাক্কা খেল উত্তরবঙ্গের চা শিল্প। এই ক্ষতি কী ভাবে পূরণ হবে জানিনা।’’ তাঁর আশা পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবে।
পড়তে পারেন : অক্টোবরেই জম্মু ও কাশ্মীরে শিল্প সম্মেলনের সূচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
খবর
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলায় বাড়ল সুবিধা, কমল টিডিএস
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার বিষয়ে কর সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

এখন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) থেকে টাকা তোলায় বাড়তি সুবিধা পাবেন সদস্যরা। টিডিএস (TDS) হিসেবে আগের ৩০ শতাংশের জায়গায় এ বার কাটা হবে ২০ শতাংশ।
ইপিএফও থেকে টাকা তোলার নিয়ম বদল করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) থেকে টাকা তোলার বিষয়ে কর সংক্রান্ত নিয়ম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
৩০ শতাংশের জায়গায় ২০ শতাংশ টিডিএস
আপনি যদি নিজের পিএফ (PF) অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন, তা হলে এখন আপনাকে ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে টি়ডিএস দিতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক করা থাকে বা না থাক, উভয় ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হবে। ইপিএফও-র এই নতুন নিয়ম চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। অর্থাৎ, আপনি যদি ১ এপ্রিলের আগে ইপিএফও থেকে টাকা তুলতে চান, তা হলে চলতি হারেই টিডিএস দিতে হবে।
টিডিএসে নিয়ম বদল
কোনো অ্যাকাউন্ট হোল্ডার যদি পাঁচ বছরের মধ্যে টাকা তোলেন, তবে তাঁকে টিডিএস দিতে হবে। পাশাপাশি, ৫ বছর পরে টাকা তোলার উপর কোনো টিডিএস ধার্য করা হবে না। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বাজেটে জানিয়েছিলেন যে টিডিএসের জন্য কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমাও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও লটারির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, একটি আর্থিক বছরে মোট ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত টিডিএস কাটা হবে না, তবে তার পরে এটি অবশ্যই কাটা হবে।
আরও পড়ুন: বাজেটে আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন, জানুন নতুন ও পুরনো কর ব্যবস্থার খুঁটিনাটি
খবর
আদানি-বিপর্যয়ের মধ্যেও চাঙ্গা শেয়ার বাজার, লম্বা দৌড় সেনসেক্স-নিফটির
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি।

সপ্তাহের শেষ কেনাবেচার দিনে শক্তিশালী অবস্থানে থিতু হয়েছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। ফিন্যান্সিয়াল এবং আইটি শেয়ারগুলির কাঁধে ভর দিলে অনেকটাই উঁচুতে উঠে বন্ধ হয়েছে অন্যতম সূচকগুলি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) নিজের ত্রৈমাসিক আয়ের রিপোর্ট পেশ করার আগে আর্থিক লাভ করেছে।
বিএসই সেনসেক্স (BSE Sensex) ৯০০ পয়েন্ট উপরে উঠে ৬০.৮৫০-এর কাছাকাছি স্থির হয়েছে। অন্য দিকে, এনএসই নিফটি (NSE Nifty) প্রায় ২৫০ পয়েন্ট এগিয়ে ১৭,৮৫০-এর উপরে বন্ধ হয়েছে। নিফটি এই সপ্তাহে ১.৪ শতাংশ বেড়েছে এবং এর অন্তর্গত ৫০টি স্টকের মধ্যে লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২৭টি। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে নিফটি ব্যাঙ্ক এই সপ্তাহে ২.৭ শতাংশ লাফিয়েছে। অন্য দিকে, ইনফোসিস-এর মতো সংস্থার উপর নির্ভর করে নিফটি আইটি সূচক টানা চতুর্থ সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার সবচেয়ে লাভবান স্টকগুলির মধ্যে রয়েছে টাইটান, বাজাজ ফিন্যান্স, বাজাজ ফিনসার্ভ. এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি। এ ছাড়াও এ দিন সবচেয়ে সক্রিয় স্টকের মধ্যে ছিল আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি পোর্টস সেজ, আরআইএল, এসবিআই, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। নিফটি-কে পিছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে টেক মাহিন্দ্রা, এইচসিএল টেক, উইপ্রো সেনসেক্সে ওজন করেছে যখন ডিভিস ল্যাবস, বিপিসিএল।
প্রসঙ্গত, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারের পতন অব্যাহত রয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও বন্ধ করার পরে আদানি এন্টারপ্রাইজ ২ শতাংশের বেশি কমে ১,৫৩১ টাকায় নেমে এসেছে। আদানি টোটাল গ্যাস ৫ শতাংশ, আদানি গ্রিন এবং আদানি ট্রান্সমিশন ১০ শতাংশ করে কমেছে।
ও দিকে, আমেরিকার শেয়ার বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে বাজার খোলার কিছু ক্ষণ পরে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দরের পতন ঘটতে শুরু করে। যার প্রভাব পড়ে ডাও জোন্স সূচকেও। এক সময় সূচক তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় আদানির সংস্থাকে। পরে আবার তা চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিক ভাবে আদানিদের ওই সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। আর তার অভিঘাতে ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে পতন ঘটে ডাও জোন্স সূচকে।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
খবর
সস্তায় ‘ভারত আটা’ বিক্রি করবে সরকার, জানুন দাম কত
খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্পের আওতায় এই আটা বিক্রি হবে। এর নাম ‘ভারত আটা’

খোলা বাজারে আটার দাম বেড়েছে অনেকটাই। বাড়তি চাপ পকেটে। স্বস্তি দিতে শীঘ্রই সস্তায় আটা সরবরাহ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্পের আওতায় এই আটা বিক্রি হবে। এর নাম ‘ভারত আটা’ (Bharat Atta)।
কত দাম ভারত আটার
মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, বেশি দামে আটা কেনা গ্রাহকরা স্বস্তি পেতে চলেছেন এই সরকারি উদ্যোগে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ‘ভারত আটা’ বিক্রি শুরু হবে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি আউটলেট থেকে প্রতি কেজি ভারত আটা কেনা যাবে ২৯.৫০ টাকায়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED) এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ক্রেডিট কাউন্সেলিং (NFCC) ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই আটা বিক্রি শুরু করবে।
গম দেবে এফসিআই
বর্তমানে দেশে কেজি প্রতি আটার দাম অন্ততপক্ষে ৩৮ টাকা। এমতাবস্থায় সরকারের এই প্রকল্পের ফলে জনগণের কাছে সস্তায় আটা পৌঁছে যাবে। জানা গিয়েছে, খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের সচিব সঞ্জীব চোপড়া একটি বৈঠকে এর ওপেন মার্কেট সেল স্কিম পর্যালোচনা করেছেন।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)-র ডিপো থেকে কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার, এনএএইইডি এবং এনসিসিএফ সংস্থাগুলি ৩ এলএমটি পর্যন্ত গম তুলবে। এর পরে, এই গম থেকে আটা তৈরির পর খুচরো দোকান এবং সরকারি আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে তা বিক্রি করা হবে।
বলে রাখা ভালো, এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওপেন মার্কেট স্কিম পর্যালোচনা করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন গম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আদানিকাণ্ডে এলআইসি লগ্নিকারীদের উপর আঁচ পড়বে না, বিবৃতি বিমা সংস্থার
-
খবর3 months ago
আশঙ্কা বাড়িয়ে আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের পর ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি কমাল মুডিজও
-
ফিনান্স3 months ago
বিনিয়োগের তালিকায় কেন রাখতেই হবে আপৎকালীন তহবিল
-
বিমা4 months ago
স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন
-
বিমা4 months ago
মানসিক সমস্যায় কি স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাওয়া যায়?
-
ফিনান্স3 months ago
বাড়িতে বসে কী ভাবে ইপিএফ ক্লেম স্ট্যাটাস জানবেন, রইল সহজ পদ্ধতি
-
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি2 months ago
হোয়াটসঅ্যাপে এলআইসি পরিষেবা, জানুন কী ভাবে ব্যবহার করবেন
-
খবর5 months ago
SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি
-
ফিনান্স5 months ago
বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন? তা হলে এই ৫টি টিপসে চোখ বুলিয়ে নিন