বাজেট হোক সাপ্তাহিক

Weekly Budget

বিশাল গুপ্ত: বাজেট ছাড়ে সুষম ভাবে চলে না কোনো কিছুই। সেটা হতে পারে সরকার, অথবা আমাদের সংসার। কখনও জেনেবুঝে আবার কখনও না-বুঝেই মনে মনে একটা বাজেট তৈরি করে ফেলেন অধিকাংশ মানুষ। কষ্টার্জিত অর্থের সদ্ব্যবহারে বাজেটকে অগ্রাধিকার দিলে হাতেনাতে ফলও পাওয়া যেতে পারে।

কষ্টার্জিত অর্থ দু-হাতে বেহিসেবি ছড়াতে শুরু করলে তার পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, ফুরিয়ে তা যাবেই। স্বাভাবিক ভাবেই সঞ্চয়ের কথা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি। সফল হলে ভালো, বিফলে গেলে পরের বাজেটের জন্য অপেক্ষা। তবে এই বাজেট কিন্তু বার্ষিক অথবা মাসিক নয়, সংসারের বাজেট হতে হবে সাপ্তাহিক।

বাজেট ব্যতীত অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলির জন্য ব্যয় করতে পারেন যে কেউ। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মর্জি। কিন্তু অর্থোপার্জন করে তা খরচ করে দেওয়ার মধ্যেই অর্থোপার্জনের পুরো একটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায় না। তার মধ্যে সঞ্চয়ও একটা বড়ো অধ্যায়। যা সঠিক ভাবে পালন করাও উপার্জনকারীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

বাজেট তৈরি করা ততটা সহজ নয়, যতটা সহজ ব্যয় করা। কিন্তু তার থেকেও কঠিন আয় বা উপার্জন করা। ফলে কষ্টার্জিত অর্থের সুষম ব্যবহার এবং তারই সঙ্গে তালমিলিয়ে সঞ্চয়ের দিকটি মাথায় রাখতে হবে। সঞ্চয়ের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ভবিষ্যতে জীবন কতটা সুগম হবে, সে প্রশ্ন।

প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ সঞ্চয়ের আশা না করা যেতেই পারে। কিন্তু ন্যূনতম পরিমাণ সঞ্চয়ের লক্ষ্য নিয়ে শুরু করতে হবে। এবং সেটা হবে প্রতি সপ্তাহে। স্বাভাবিক ভাবেই সঞ্চয়ের প্রশ্ন এলে ব্যয়ের বহরেও সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসাটা বাঞ্ছনীয়।

পড়তে পারেন: স্মার্টফোনে সবাই তো আর FM শোনেন না

সাপ্তাহিক বাজেটে সাতটা দিনের নিয়মিত খরচ এবং তারই সঙ্গে অনিয়মিত খরচের জন্য বাড়তি একটা টাকা ধরে রাখতে হবে। ওই বাড়তি টাকা ওই সপ্তাহেই খরচ হয়ে গেলে কোনো ব্যাপার না। কিন্তু হাতে থেকে গেলে তা সঞ্চয়ের ভাণ্ডারে স্থানান্তর করতে হবে। কারণ, পরবর্তী সপ্তাহে অনিয়মিত খরচের বহর বাড়লে ভারসাম্য রাখবে ওই সঞ্চয়।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.