নয়াদিল্লি: এই নিয়ে টানা সাত সপ্তাহ ধরে কমল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার (foreign exchange reserves)। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছে ৫৪৫৬৫.২ কোটি ডলারে।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের হাতে বিদেশি মুদ্রা ছিল ৫৫০৮৭.১ কোটি ডলার। পরের এক সপ্তাহে সেখান থেকে আরও ২২০ কোটি ডলার কমেছে। বর্তমানে ভারতের ভাণ্ডারে থাকা বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ গত ২০২০ সালের ২ অক্টোবরের পর থেকে সব চেয়ে কম।
শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। মার্কিন ডলারের তুলনায় এ দিন ভারতীয় রুপির দাম পৌঁছেছে ৮১.২০ টাকায়। ফেড রেট বাড়ার পরই ডলারের তুলনায় রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।
ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। উলটো দিকে, ডলারের তুলনায় ৪১ পয়সা কমেছে ভারতীয় রুপি। বিশ্লেষকদের মতে, মুদ্রা ভাণ্ডারে পতনের জন্য আংশিক ভাবে দায়ী এই মূল্যায়নের পরিবর্তন। কারণ, ডলারের তুলনায় রুপির দামে তীব্র পতন রোধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে আরবিআই।
এমনকী, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ইতিমধ্যেই বলেছেন, “আকস্মিক এবং অস্থির পরিবর্তনগুলি এড়িয়ে যেতে বদ্ধপরিকর আরবিআই। ফরেক্স মার্কেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতীয় টাকার মৌলিক দিকগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ স্তর খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। পুঁজির প্রবাহ যখন শক্তিশালী ছিল, তখন আমরা বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারও শক্তিশালী করেছিলাম। …ঠিক যেমনটা, বৃষ্টি হলে ব্যবহার করার জন্য আপনি একটা ছাতা কেনেন”।
তাঁর এই মন্তব্য থেকে অনুমান, ভারতীয় মুদ্রার অস্থিরতা মোকাবিলায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্থির ও অস্বস্তিকর গতিবিধির নিয়ন্ত্রণে কোনো খামতি রাখছে না কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন: ফের রক্তক্ষরণ, নেতিবাচক পরিণতির দিকে এগোচ্ছে শেয়ার বাজার!