বিবি ডেস্ক: এক দশক ধরে চলা অর্থনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), পণ্য সরবরাহের সমস্যা সত্ত্বেও বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠবে। যদিও এর জন্য নয়াদিল্লিকে প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সহজ হতে হবে। এমনটাই মনে করেন ডয়েশ ব্যাঙ্কের (Deutsche Bank) সিইও ক্রিশ্চিয়ান সেউইং (Christian Sewing)।
কেন ভারতকেই ভরসা
যখন বড় ব্যাঙ্কগুলিতে অর্থের অভাব দেখা দিচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে সুদের হার বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, তখন বিশ্ব অর্থনীতির মহীরুহদের খুব সম্ভবত এক কঠিন লড়াই লড়তে হবে। এই লড়াই থেকে সরে গেলে বিশ্ব অর্থনীতি এক ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছবে। এমনটাই মনে করেন ক্রিশ্চিয়ান। ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের চোখে ভারতকে উন্নত হতে দেখেছি। ভারতের উচিত নিজেদের উন্নতি নিয়ে গর্ব অনুভব করা। বিশ্বের বহু দেশ, বিশেষ করে ইউরোপের একাধিক দেশ ভারতকে এক ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসাবে দেখছে। আমরা এখানে বিনিয়োগ করে নিজেদের উন্নত করতে চাই। ভারত এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এখানকার বাজার অত্যন্ত শক্তিশালী।’’
এমন এক সময়ে ক্রিশ্চিয়ান এই কথাগুলি বলেছেন যখন চিন থেকে বহু লগ্নি ভারতে স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছে। যদিও ভারতের বিপুল জনসংখ্যা বিভিন্ন সময়ে সমস্যার সৃষ্টি করেছে, তবুও অর্থনৈতিক বিশষেজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করেন যে ভারতে উত্তরের প্রতিবেশীর মতো বিশ্ব অর্থনীতির আকর্ষণবিন্দু হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভারতকে এখনও অনেক পথ পেরোতে হবে।
কী ভাবে লড়াই
ডয়েশ ব্যাঙ্কের (Deutsche Bank) কর্তার মতে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় শত্রুর নাম মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে প্রয়োজনে কিছু ক্ষতিও মেনে নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রয়োজনে আমাদের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতিকে না হারাতে পারলে মন্দার শিকার হতে হবে।’’
ডিউসেচ ব্যাঙ্কের শক্তি
নিজেদের কথা বলতে গিয়ে জার্মানির সবচেয়ে বড়ো ব্যাঙ্কের কর্তা বলেন, ‘‘২০২২-এর প্রথম অর্ধে আমরা বেশ ভাল ফল করেছি। ২০১১ সালের পর থেকে আমরা এই সময়ে সবচেয়ে বেশি লাভ করেছি। আমাদের প্রধান ক্ষমতা হল পরিচ্ছন্ন হিসাব এবং গ্রাহকদের জন্য সবরকম পরিষেবা।’’
আরও পড়ুন: কোন দেশীয় স্টার্টআপ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী? জানিয়ে দিল লিঙ্কডইন