প্রতিনিয়ত পথদুর্ঘটনা ঘটছে এখানে-ওখানে। এ ধরনের দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয় চিকিৎসায় বিলম্বের কারণে। এই গুরুতর বিষয়টি মাথায় রেখে শীঘ্রই সড়ক দুর্ঘটনায় বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আহতরা যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে পারে এবং তাদের জীবন বাঁচানো যায়, সেদিকেই নজর কেন্দ্রের।
ইতিমধ্যেই মোটরযান আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষ আহত এবং ১ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন প্রকল্প সম্পর্কে শীঘ্রই ঘোষণা করতে পারে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। আগামী ৪ মাসের মধ্যে সারা দেশে এই সুবিধা কার্যকর করা হবে। মন্ত্রকের সচিব অনুরাগ জৈন এক অনুষ্ঠানে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ভারতে হয়। বিনামূল্যে এবং নগদবিহীন চিকিৎসার নিয়ম মোটরযান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। কিছু রাজ্যে এই নিয়ম মানা হচ্ছে। কিন্তু এখন সারা দেশে তা বাস্তবায়নের সময় এসেছে।
মোটরযান আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় আহতদের অবিলম্বে কাছের কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে। দুর্ঘটনার প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা পাওয়া গেলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। দুর্ঘটনার পর প্রথম কয়েক ঘণ্টাকে বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। ওই সময় আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায় এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বলে রাখা ভালো, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সরকার স্কুল-কলেজে এই কোর্সটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিশেষ কিছু পদক্ষেপও বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সিট বেল্ট রিমাইন্ডার এবং যানবাহনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, ইত্যাদি।