বিবিডেস্ক: আগামী ১২ অক্টোবর থেকে তিন দিনের জন্য একটি বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন বা গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন করছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব নবীন চৌধুরি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, বিনিয়োগের ব্যাপারে এখানকার সম্ভাবনা, কৌশল এবং শক্তির বিশদ মত আদানপ্রদানের মাধ্যমে শি্ল্পোদ্যোগীদের আকর্যণের জন্যই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে, জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন পরিবর্তিত অবস্থান অর্থাৎ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। এখন পর্যন্ত সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, ৩৭০ এবং ৩৫ এ ধারার বিধানগুলি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে চরম বাধার সৃষ্টি করে আসছিল। বিশেষ করে জমি কেনা এবং দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ থেকে বিরত রেখেছিল ওই ধারার বিধানগুলি।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরে সমস্ত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১০% রাজ্যটিতে ২০০০ এবং ২০১৬-য় পৌঁছেছিল কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগের তেমন কোনো প্রভাবই দেখা যায়নি। এর কারণ একটাই-ওই ধারার বিধানগুলির প্রতিবন্ধকতা। যে কারণে সরকার বিশ্বাস করে, প্রশাসনিক অবস্থা পরিবর্তন ব্যবসায়িক স্বাচ্ছন্দ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই পরিস্থিতি শিল্পোদ্যোগীদের যেমন আগ্রহ বাড়াবে তেমনই বিনিয়োগ এবং দক্ষ কর্মী নিয়োগে উৎসাহিত করবে।
এক সরকারি কর্মকর্তার মতে, “এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি আইন অনুযায়ী অবাধে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এ বার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাগাখের মতো নতুন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও বাকি দেশের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা”।
সরকার মনে করে, ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার নিষেধাজ্ঞাগুলি রাজ্যের বাইরের শিল্পোদ্যোগীদের যেমন বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল, তেমনই পেশাদার এবং বিশেষজ্ঞদেরও রাজ্য সরকারি চাকুরি পেতে বাধা দিয়েছে, যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য কর্মীদেরও অভাব হয়ে থাকতে পারে।