বিবিডেস্ক: ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (মেইটওয়াই) গত বছর তিনটি বড়ো প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে ভারতে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন বৃদ্ধিতে নতুন উদ্যোগ নিয়ে এগনোর পরিকল্পনা করেছে।
পরিকল্পনাগুলিতে নতুন বিনিয়োগের জন্য ঋণের উপর সুদের হারের ভরতুকি, বৈদ্যুতিন উৎপাদন ক্লাস্টার (ইএমসি) প্রকল্পের পুনর্নবীকরণ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য গৃহীত ঋণের জন্য জামানত ছাড়ও অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এক আধিকারিক একটি জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, গত বছর তিনটি বড়োসড়ো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর, এ ধরনের নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে কেন্দ্র। এই নতুন উদ্যোগের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রতিষ্ঠিত এবং নীতি আয়োগের নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় প্যানেল ভারতে বিশ্বমানের বৈদ্যুতিন উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, মেইটিওয়াই-এর সচিব প্যানেলের একি অংশ এবং তাঁরা সম্মিলিত ভাবে তথ্যের জোগান দিচ্ছেন, কিন্তু একই সঙ্গে এই প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রকও বিবেচনা করে দেখছে।
বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদনের বাজারে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করতেই সরকার চাইছে বিনিয়োগের জন্য সুদের হারে আকর্ষণীয় ছাড় দিতে। এতে যেমন স্থানীয় স্তরে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে তেমনই বহুজাতিক সংস্থাগুলিও এ দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাবে বলেই মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।
ভারতের প্রতিযোগী হিসাবে পরিচিত চিন এবং ভিয়েতনামের মতো দেশগুলিতে তুলনামূলক ভাবে নিম্ন হারে সুদের হার প্রচলিত রয়েছে শিল্পঋণের ক্ষেত্রে। স্বাভাবিক ভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদেরও অধিক পছন্দ ওই সমস্ত দেশগুলি। বর্তমানে যেখানে ওই সুদের হার ৯-১২ শতাংশ, সেখানে এই সুদের হার থেকে কমপক্ষে ৪ শতাংশ ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।
একই সঙ্গে নতুন উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট ঋণের গ্যারান্টি স্কিমের অধীনে ব্যক্তিগত জামানত না দিয়েই শিল্প গড়ার সুবিধার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাবও করেছে মন্ত্রক। আধিকারিকরা মনে করেন, উচ্চহারে সুদ এবং শিল্পস্থাপনে জামানতের বিষয়টিই অনেক ক্ষেত্রে শিল্পের প্রসারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।