প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ৬টি বিমা প্রকল্প চালু করেছেন

Modi Insurance

বিবিডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে একাধিক বিমা প্রকল্প চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক সেগুলির সুযোগ-সুবিধা।

১. প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা

উদ্দেশ্য: বাণিজ্যিক ফসল-সহ সমস্ত ফসলের জন্য বিমা সুরক্ষা সরবরাহ করা। ফসল কাটার পরের লোকসানের ক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এই প্রকল্পের আওতায় কৃষক সমস্ত খরিফ ফসলের জন্য ২% এবং সমস্ত রবি ফসলের জন্য ১.৫% অভিন্ন প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন।

বিজ্ঞপ্তিকৃত অঞ্চলে নির্ধারিত ফসলের জন্য পিএমএফবিওয়াইয়ের কভারেজের জন্য অপরের জমিতে চাষ করা কৃষকেরাও যোগ্য।

২. প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা

উদ্দেশ্য: পিএমএসবিওয়াই ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য গ্রাহক প্রতি বার্ষিক ১২ টাকার প্রিমিয়ামের বিনিময়ে এক বছরের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য বিমাকারীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

এই বিমা পুনর্নবীকরণযোগ্য। এই বিমার আওতায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ মেলে। শুধু মৃত্যু নয়, পূর্ণ শারীরিক অক্ষমতার জন্যও বিমার পরিষেবা পাওয়া যেতে পারে উপযুক্ত শর্তপূরণের মাধ্যমে।

৩. প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা

উদ্দেশ্য: পিএমজেজেবিওয়াই ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের সমস্ত গ্রাহক ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য এক বছরের মেয়াদী জীবনকাল কভার অফার করে, যে কোনো কারণে মৃত্যুর আওতাভুক্ত, কোনও গ্রাহককে বার্ষিক ৩৩০ টাকা প্রিমিয়ামের বিনিময়ে এই বিমার সুবিধা পাওয়া যায়।

২০১৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই বিমার কথা ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের মে মাসে এই বিমার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা।

৪. প্রধানমন্ত্রী জন স্বাস্থ্য যোজনা (আয়ুষ্মান ভারত পরিকল্পনা)

উদ্দেশ্য: সরকারি / বেসরকারি হাসপাতালের দরিদ্র রোগীদের পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নগদহীন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া।

প্রায় ১,৩৫০ টি মেডিক্যাল প্যাকেজ, শল্য চিকিৎসা, মেডিক্যাল এবং ডে কেয়ার চিকিৎসা, ওষুধের দাম এবং ডায়াগনস্টিককে পিএমজেএই স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৫. প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা

উদ্দেশ্য: প্রতিটি সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার একটি প্রকল্প।

অ্যাঙ্কাউন্ট খোলার ৬ মাস পর ওভারড্রাফ্টের সুবিধা রয়েছে। গত বছর থেকেই বিমা সুরক্ষার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এখন দ্বিগুণ, ২ লক্ষ টাকা ৷

৬. অটল পেনশন প্রকল্প

উদ্দেশ্য: অটল পেনশন প্রকল্পটি একটি সরকার-অনুমোদিত পেনশন পরিকল্পনা যা আপনাকে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে আপনার আর্থিক প্রয়োজনের মেটাতে সহায়তা করে। এই স্কিমটি ২০১৫ সালে চালু করা হয়েছিল বিশেষত যাঁরা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁদের জন্য।

আপনার বয়স এবং আর্থিক আয়ের উপর নির্ভর করে আপনি পেনশনের পরিমাণ ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে বেছে নিতে পারেন। যোগ্যতার সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বয়স যথাক্রমে ১৮ বছর এবং ৪০ বছর।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.