আগামী দু’বছরে ১ কোটি অতিরিক্ত কর্মসংস্থান, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

Ashwini Vaishnaw

বিবি ডেস্ক: আগামী দু’বছরে ইলেকট্রনিক্স (Electronics) এবং বিজনেস প্রসেসিং আউটসোর্সিং (BPO)-এ ১ কোটি অতিরিক্ত কর্মসংস্থান তৈরি করা যেতে পারে। দেশের স্টার্ট আপ সেক্টর (start-up sector) যে অগ্রগতি করছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য কেন্দ্রীয় যোগাযোগ, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি এবং রেলপথের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw)।

কোন সেক্টরে কত কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

ভারতের সফ্‌টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক (STPI) এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার সফ্‌টওয়্যার এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ESC)-র আয়োজিত জাতীয় স্তরের স্টার্ট-আপ উদ্যোগের সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।

বক্তৃতা করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্স সেক্টরেই অতিরিক্ত ২৫-৩০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করা যেতে পারে। অন্য দিকে, বিপিও সেক্টর আগামী দু’বছরে ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে, যা কর্মসংস্থানের ব্যাপারে একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটাবে।

যোগ্যতা এবং প্রতিভাকে গুরুত্ব, সাম্প্রতিক পরিবর্তন

দেশে উদ্ভূত তিনটি মেগাট্রেন্ড নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রযুক্তিক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছে থেকে উদ্ভাবনশীলতা, কম্পিউটার সম্পর্কিত উচ্চস্তরের ধ্যানধারণা এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিশ্রুতির সেই কথাই শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “আমাদের এখন একটি এমন ইকোসিস্টেম রয়েছে, যা যোগ্যতা এবং প্রতিভাকে গুরুত্ব দেয়। যা বাধা কাটিয়ে উদ্ভাবন ক্ষমতাকে আরও জায়গা করে দেয়”।

তাঁর দাবি, এই ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনোই ছিল না। টেলিকম, ইলেকট্রনিক্সের মতো ক্ষেত্রগুলিতে সীমান্ত প্রযুক্তির বিস্তারের জন্য একটি জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে এবং সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি ভারতকে প্রযুক্তির নেতৃত্বস্থানীয় হিসাবে আবির্ভূত হতে সাহায্য করবে।

উৎপাদন সেক্টরে ভারতের বর্তমান অবস্থান বোঝাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন সিস্টেমের দিকে তাকালেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায়। যেখানে ভারত সম্প্রতি একটি নেট আমদানিকারক থেকে একটি প্রধান রফতানিকারক হয়ে উঠেছে। তাঁর কথায়, “এটি একটি বিস্ময়কর কৃতিত্ব যা আমরা রেলওয়ে, রাসায়নিক, শক্তি এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ অন্যান্য বিভাগে অনুকরণ করার চেষ্টা করছি”।

আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধি কমছেই, কিন্তু তা কতটা? নজর এখন সে দিকেই

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.