বিবি ডেস্ক: ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার যন্ত্রই শেষ পর্যন্ত ঘুম কেড়ে নিল ফিলিপসের (Philips)। এই যন্ত্র থেকে হওয়া লোকসানের বোঝা কমাতে শেষমেশ বিপুল পরিমাণে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বের অন্যতম ইলেকট্রনিক্স সংস্থা। খরচ কমাতেই এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ বলে জানিয়েছে এই ডাচ সংস্থা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে চার হাজার কর্মীকে ছেঁটে ফেলছে তারা।
কী বলছে সংস্থা
এই ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ প্রসঙ্গে ফিলিপসের (Philips) নতুন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার রয় জেকবস (Roy Jakobs) বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য সংস্থার পুরনো সুনাম ফিরিয়ে আনা। এই কাজে বেশ কিছু পদক্ষেপ করবে সংস্থা। রোগী এবং গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং ফিলিপসের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারই আমাদের প্রাথমিক কাজ।’’ কর্মীদের ছাঁটাইয়ের এই প্রক্রিয়ায় আসন্ন ত্রৈমাসিকে সংস্থার ৩০ কোটি পাউন্ড (সাড়ে ২৯ কোটি ডলার) খরচ হবে বলে দাবি করেছে সংস্থা।
কেন জেকবস
গত প্রায় ১২ বছর ধরে ফিলিপস প্রধানের দায়িত্ব সামলানো ফ্রান্স ভ্যান হাউটেনের জায়গায় মাসখানেক আগে এসেছেন জেকবস। ২০২০ সালে কোভিড সামলে সংস্থাকে বড় লাভের মুখ দেখিয়েছিলেন তিনি। স্লিপ অ্যাপনিয়ার (Sleep Apnea) চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্র তৈরি করে যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে সংস্থার। এক বছরে ফিলিপসের (Philips) শেয়ারের দাম কমে প্রায় ৬০ শতাংশ। এই অবস্থায় ভাবমূর্তি উদ্ধারে জেকবসকেই বেছে নিল সংস্থা।
কতটা ক্ষতি হয়েছে ফিলিপসের
চিকিৎসার জন্য খারাপ যন্ত্র বানানোয় ইতিমধ্যেই আদালতে যেতে হয়েছে সংস্থাকে। গত বছরের জুন থেকে খারাপ যন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে সংস্থা। এর জন্য চলছে আইনি লড়াইও। ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় সংস্থার কয়েকশো কোটি ডলারোর ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি কমবেই, তবে সময় লাগবে ঋণনীতির সুফল পেতে, বলছেন ঋণনীতি কমিটির সদস্য