কমছে চাহিদা, হু হু করে পড়ছে দাম, তবুও চিন্তার কিছু দেখছে না ইস্পাত শিল্প

বিবি ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তো ছিলই। সঙ্গে ছিল চিনা বিধিনিষেধ। ফলে ইস্পাতের দাম বাড়ছিল। কিন্তু চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করে। এক সময়ে তা কমে যায় প্রায় ৪০ শতাংশ। এই অবস্থাতেও কিন্তু আশার আলোই দেখছে ইস্পাত শিল্প (Steel Industry)। নভেম্বর থেকে দাম বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।

কেন কমল দাম

ইস্পাত শিল্পের (Steel Industry) একাংশের মতে, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পণ্যটি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে যোগ হয় চিনে ইস্পাত রফতানির উপরে বিধিনিষেধ। তাতেই দাম বাড়ে। তবে হালে প্রায় ৪০% কমে টনে দর হয়েছে ৫৫,০০০-৫৭,০০০ টাকা। শ্যাম স্টিলের (Shyam Steel) ডিরেক্টর ললিত বেরিওয়াল বলেন, ‘‘সাধারণত বর্ষায় নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকে। ফলে কমে ইস্পাতের চাহিদা। বছরের গোড়ায় দাম বাড়লেও তাই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্রুত তা কমেও এসেছে।’’

কবে দাম বাড়বে

তবে নভেম্বর থেকে ফের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন জেএসডব্লিউ-র (JSW) জয়েন্ট এমডি ও গ্রুপ সিইও শেষাগিরি রাও। তাঁর কথায়, ‘‘ইস্পাতের দাম যা পড়ার পড়ে গিয়েছে। আর পড়বে বলে মনে হয় না। বরং আগামী দিনে তা বাড়তে শুরু করবে।’’

তাঁর ব্যাখ্যা, চাহিদা কমায় সারা বিশ্বে মোট ৬.২০ লক্ষ কোটি টন উৎপাদন কমিয়েছে ইস্পাত সংস্থাগুলি। এর উপরে অদূর ভবিষ্যতে দেশে ইস্পাতের চাহিদা ফের বাড়বে। ফলে বাড়বে দামও। তিনি বলেন, ‘‘দেশে এ বছর ইস্পাতের মোট চাহিদা আগের বছরের থেকে ৯০ লক্ষ টন বেড়ে ১১.১৫ কোটি টনে দাঁড়াতে পারে।’’ তবে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (World Steel Association) জানিয়েছে, ২০২২ সালে সারা বিশ্বের চাহিদা ২.৩% কমে ১৭৯.৬৭ লক্ষ কোটি টনে ঠেকবে।

আরও পড়ুন: চাকরি গেল হাজার হাজার কর্মীর, লোকসান কমিয়ে উন্নতি করতে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ ফিলিপসের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.