মুম্বই: এই নিয়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে বাড়ল ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার (foreign exchange reserves)। এই মুহূর্তে যা ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে।
শুক্রবার আরবিআই জানায়, ১৪ এপ্রিল থেকে শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার থিতু হয়েছে ৫৮,৬৪১ কোটি ডলারে। শেষ সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার ১৬৫ কোটি ডলার বেড়েছে। মূলত বিদেশি মুদ্রা সম্পদের বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)-এর পরিসংখ্যান।
এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহে দেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুসারে, রিপোর্টিং সপ্তাহে আইএমএফের কাছে দেশের রিজার্ভ অবস্থান ১.২ কোটি মার্কিন ডলার বেড়ে ৫১৯ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ফরেক্স মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের মতে, ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে হস্তক্ষেপ করেছে আরবিআই। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে এই বৃদ্ধি ধরা পড়ছে। উল্লিখিত সপ্তাহের জন্য, মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি সামান্য উচ্চতায় শেষ হয়েছে এবং ৮১.৭৭ থেকে ৮২.১৫-র মধ্যে লেনদেন করেছে। শুক্রবার ডলারের তুলনায় রুপি বন্ধ হয় ৮২.০৯-এ।
গত বছরের শেষ কয়েক মাস ধরে ডলারের তুলনায় দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে ভারতীয় টাকা। ভেঙেছে একের পর এক সর্বকালীন সর্বনিম্ন রেকর্ড। ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়ার কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য মুদ্রাগুলিও। আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বছরে সেই পরিস্থিতির কিছুটা হলেও বদল দেখা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় মুদ্রার অস্থিরতা মোকাবিলায় বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার ব্যবহার করা হচ্ছিল। অস্থির ও অস্বস্তিকর গতিবিধির নিয়ন্ত্রণে কোনো খামতি রাখতে চায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। যদিও বর্তমানে ভারতীয় রুপি স্থিতিশীল হওয়ায় ডলার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছে আরবিআই।
আরও পড়ুন: NPS অ্যাকাউন্টের জন্য কাকে নমিনি করবেন?
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.