
দাম বাড়ছে ফ্ল্যাট থেকে বাড়ির। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি বিমা (Home Insurance)-ও ক্রেতার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে নিজের বাড়িকে আপনি যে কোনো প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। তবে হোম ইনস্যুরেন্স নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ঝুঁকিগুলি কী
যে কোনো হোম ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান বেছে নেওয়ার আগে দেখে নিতে হবে পলিসিতে কভারেজের কী কী সুযোগ রয়েছে। বেশিরভাগ বাড়ির বিমা প্ল্যান শুধুমাত্র বিল্ডিং এবং বিল্ডিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়কে কভার করে। এর মধ্যে আবার সীমাবদ্ধতাও থাকে অনেক। এক্ষেত্রে, প্ল্যান কেনার আগে আপনার পলিসি ডকুমেন্টগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া উচিত। অনেক নীতি ভূমিকম্প এবং বন্যা কভার করে না, এই ব্যাপারটা অবশ্যই খতিয়ে দেখে নেবেন।
কভারেজের বহর
ঝুঁকিগুলি ভালো করে পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় বিষয়টি হল কভারেজের বহর। এটা কিন্তু পলিসি করার আগে ভালো ভাবে যাচাই করে নিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার হোম ইন্স্যুরেন্স অবশ্যই বাড়ির মূল্য, বাড়ির সংস্কারের খরচ এবং বাড়ির ভিতরে রাখা মূল্যবান জিনিসগুলিকে কভার করবে। এমনিতে বাড়ির বিমা সম্পত্তির সমস্ত ধরনের ক্ষতি কভার করে এবং মালিককে হঠাৎ করে ক্ষতির হাত থেকে যেমন চুরি, মূল্যবান সম্পত্তির ক্ষতি এবং বন্যা, ভূমিকম্প বা এমনকি অগ্নিকাণ্ডের মতো বিপর্যয়গুলির কারণে ঘটে যাওয়া ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে।
দাবি জানানোর প্রক্রিয়া
হোম ইন্স্যুরেন্স করার সময় জেনে নিতে হবে ক্ষতির সম্মুখীন হলে কী ভাবে দাবি জানাবেন। অর্থাৎ, ক্লেম প্রসেস সম্পর্কে আগাম জেনে নিতে হবে। দাবি জানানোর সময় কী ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে, সেটা আগেভাগেই স্পষ্ট করে জেনে নিতে হবে। নইলে বিপদে পড়লে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
প্রিমিয়ামের পরিমাণ
বিমা মানেই প্রিমিয়াম দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিমা করার আগে প্রিমিয়ামের পরিমাণ, বিভিন্ন ধরনের অ্যাড-অন কভার-সহ বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে বাজারে অন্য বিভিন্ন পলিসির তুলনামূলক পর্যালোচনা করে নেওয়া ভালো। কারণ, বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাড়ির বিমা রয়েছে এবং সেগুলি আলাদা ভাবে কাজ করে এবং প্রিমিয়ামেরও পরিমাণ পৃথক হতে পারে।
আরও পড়ুন: NPS অ্যাকাউন্টের জন্য কাকে নমিনি করবেন?