বিবিডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বেক্সিটের জন্য সময়সীমা তিন মাস বাড়িয়ে আগামী জানুয়ারির ৩১ তারিখের প্রস্তাব দিচ্ছে। সোমবার ব্রাসেলসে প্রতিনিধিরা আলোচনা করবেন বলে জানিয়ে ব্লুমবার্গ এ ব্যাপারে একটি খসড়া ঘোষণাপত্র প্রকাশ্যে নিয়ে এসে এই দাবি করেছে।
প্রস্তাবের বলা হয়েছে,যুক্তরাজ্য এর আগে আগামী ৩০ নভেম্বর বা ৩১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ত্যাগ করতে সক্ষম হবে বলে জানায়, সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই সময়মতো বিচ্ছেদ চুক্তি অনুমোদন করতে হবে। প্রস্তাবে এটি প্রত্যাহারের চুক্তি পুনর্বিবেচনার কোনও সম্ভাব্যতা বাদ দেওয়া হয়। তবে যুক্তরাজ্যের যদি প্রয়োজন হয় তা হলে এই সম্প্রসারণের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া সম্পূর্ণ শর্তাবলি পূরণ করতে হবে।
ব্লুমবার্গ জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য সকাল ১০টায় ব্রাসেলসে বৈঠক করবেন। তবে ওই বৈঠকেও শুক্রবারের মতোই সমস্ত দেশ একমত হবে না, সেটাই স্বাভাবিক। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এম্মানুয়েল ম্যাক্রন ব্রেক্সিটকে তিন মাসের জন্য বিলম্ব ঘটাতে ইইউ-র প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছিলেন। এর পরিবর্তে এক মাসের বিলম্বের জন্য ৩০ নভেম্বরের উপরেই জোর দিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে ব্লক বলেছে, তারা জরুরি সম্মেলন না ডেকেই মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টির সমাধান করতে চায়। শুক্রবার তারা জানিয়ে দেয়, মঙ্গলবারের মধ্যে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা আগামী ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনের জন্য বরিস জনসনের বক্তৃতায় ভোট দেওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে দূতদের বৈঠক হওয়ার কথা। অন্য দিকে যুক্তরাজ্যের বিরোধীরা মনে করছেন, হাউস অব কমন্সে প্রয়োজনীয়তার থেকে দ্বি-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কম রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন রবিবার ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নো-ডিল বেক্সিট চুক্তি না করা তিনি নিজের পরিকল্পনাটি ফিরিয়ে নেবেন না।
পড়তে পারেন: আয় কমেছে মালবাহী পরিবহণে, আরটিআই-এর জবাবে জানালো রেল
প্রসঙ্গত, এর আগেই বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘ব্রেক্সিট সেক্রেটারি স্টিফেন বার্কলে স্বীকার করেছেন, এই ইস্যুতে হতে যাওয়া ভোট খুবই ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ হবে। তবে, সরকারকে ‘বিভিন্ন পক্ষের সংশ্লিষ্ট সাংসদদের কথা শুনতে হবে। এখন সাংসদদের কাজ হল চুক্তিটি পাশ করতে তাঁদের নিজের নিজের দায়িত্ব থেকে সরে আসা এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’