বিবি ডেস্ক : আর্থিক মন্দার প্রভাব এবার রেলের আয়েও। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগে এসে ৩৯০১ কোটি টাকা হ্রাস পেল মালগাড়ির আয়। সম্প্রতি করা একটি আরটিআই-এর জবাবে এমনটাই জানিয়েছে রেল মন্ত্রক।
সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের নিমুচ এলাকার সমাজকর্মী চন্দ্র শেখর গৌর চলতি অর্থবর্ষে রেলের মোট আয়-ব্যয়ের হিসেব জানতে চেয়ে একটি আরটিআই দায়ের করেছিলেন। সেই আরটিআই-এর জবাবে রেল মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টেই উঠে এসেছে রেলের আর্থিক লোকসানের অঙ্ক। জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ভাগে পণ্যবাহী রেল থেকে আয় হয়েছে ২৯,০৬৬,৯২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ভাগে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫, ১৬৫,১৩ কোটি টাকায়।
তবে, শুধুমাত্র মালগাড়িই নয়, যাত্রী পরিবহণকারী রেলেরও আয় কমেছে চলতি মন্দার জেরে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণ থেকে রেলের আয় হয়েছে ১৩,৯৯৮,৯২ কোটি টাকা। আবার জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩,২৪৩,৮১ কোটি টাকা উপার্জন করেছে ভারতীয় রেল। যা অন্যান্য অর্থবর্ষের তুলনায় অনেকটাই কম বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রকাশিত রিপোর্টে।
এই মন্দার প্রভাব পড়েছে রেলের টিকিট বিক্রিতেও। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেলের টিকিট বুকিংয়ের থেকে আয় ১.২৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এমনকী, শহরতলির রেল ভ্রমণ পরিসংখ্যানও গত বছরের তুলনায় এই সময়ে ১.১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
তবে, এই মন্দা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। সম্প্রতি, ব্যস্ত মরসুমে মালবাহী রেলের সারচার্জ মকুব করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন একটি স্কিম চালু করা হয়েছে যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি চেয়ারকার এবং বিজনেস ক্লাস সিটিং-এর ক্ষেত্রে ট্রেনগুলোতে ২৫ শতাংশ ভাড়া কমানো হবে। পাশাপাশি, ৩০ বছরের পুরনো ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: কেন কলকাতায় ব্যবসা শুরু করার আদর্শ পরিবেশ রয়েছে