বাজার মন্দা
আশা ছিল। কিন্তু সে আশা পূর্ণ হল না। আরও এক বার প্রমাণ হল যে ভারত এখনও অতিমারির (Pandemic) ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে উৎসবের মরসুম। দেশীয় গাড়ি বাজারের (Automobile Market) কাছে এই মরসুম ছিল অগস্ট থেকে। আশা ছিল গণেশ চতুর্থী থেকেই গাড়ি বিক্রির পালে হাওয়া লাগবে। কিন্তু ইনিংসের শুরুটা আশানুরূপ হল না। বৃহস্পতিবার শোরুম থেকে বিক্রির হিসাব প্রকাশ করে ডিলারদের সংগঠন ফাডার (FADA) দাবি, গাড়ি ব্যবসায় এখনও অতিমারির ধাক্কা বহাল। ফলে গাড়ি বাজার আপাতত তাকিয়ে উৎসবের বাকি মরসুমের দিকে।
কী বলছে পরিসংখ্যান
ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (Federation of Automobile Dealers Associations of India)-র প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিংঘানিয়া জানান, ২০১৯ সালের অগস্টের তুলনায় সার্বিক ভাবে বিক্রি সাত শতাংশ কমেছে। যদিও যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৪১ শতাংশ। বেড়েছে বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রিও। কিন্তু দু’চাকা, তিন চাকা ও ট্র্যাক্টরের বিক্রি এখনও কম। গত বছরের চেয়ে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি কিছুটা বাড়লেও এখনও গ্রামীণ ভারত অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
কিন্তু শুধুই কি অতিমারি? কম গাড়ি বিক্রির নেপথ্যে কি আর কোনও কারণ আছে? গাড়ি শিল্পের ব্যাখ্যা, দাম বৃদ্ধির জেরে কম দামি দু’চাকার গাড়িও আগ্রহী ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। অনিয়মিত বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রেতাদের গতিবিধি কমিয়েছে। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। দামি গাড়ির চাহিদা বাড়লেও কম দামি যাত্রিগাড়ির চাহিদায় এখনও ভাটা।
আশার আলো তবে ইনিংসের শুরুটা ভাল না হলেও নবরাত্রি ও দীপাবলিতে যাত্রিবাহী গাড়ির বাজার গত এক দশকের মধ্যে সব চেয়ে ভাল হবে বলে আশায় রয়েছেন ডিলারেরা।
আরও পড়তে পারেন : SIP: সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এসআইপি