ভারতে দুটি অফিসিয়াল স্টোর খোলার মাধ্যমে এ দেশে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে আইফোন (iPhone) নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল (Apple)। একটি অফিসিয়াল স্টোর আর্থিক রাজধানী মুম্বই, আরেকটি জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে। এখন প্রশ্ন হল, ভারতে অ্যাপল স্টোরগুলি কি এ দেশে সংস্থার বাজারের শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে? এতে কি আইফোনের দাম কমতে পারে?
ভারতে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ কোটি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৌঁছে যাবে ১০০ কোটির উপরে। আরও ভালো এবং আরও দামি স্মার্টফোন কেনার এবং আপগ্রেড করার আগ্রহ রয়েছে ভারতীয়দের। এ ভাবেই, আগামী দিনে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অ্যাপলকে একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ এনে দিতে পারে এ দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা।
এমনিতে ভারতীয় স্মার্টফোনের বাজারে অ্যাপলের অংশীদারিত্ব তুলনামূলক ভাবে কম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভারতে সংস্থার প্রথম অফিসিয়াল স্টোর বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। মুম্বই ও দিল্লির খুচরো এই দুই স্টোরের অ্যাপল ইন্ডিয়া অনলাইন স্টোরের সঙ্গে একটি চুক্তি রয়েছে। এতে পছন্দমতো আইফোন কেনার বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন ক্রেতারা।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের “ইন্ডিয়া সিটি লেভেল ট্র্যাকার” অনুসারে, এ দেশে সামগ্রিক আইফোন বিক্রির ১০ শতাংশের অবদান রাখে মুম্বই। যা দিল্লির পরে ভারতে অ্যাপলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। ২০১৭ সাল থেকে ভারতে স্থানীয়ভাবে আইফোন মডেলগুলি একত্রিত করছে অ্যাপল। তবে অন্যান্য অ্যাপল পণ্য-সহ ডিভাইসগুলি ভারতে এখনও যথেষ্ট ব্যয়বহুল রয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই, সংস্থার এই নতুন উদ্যোগকে সামনে রেখে সস্তায় আইফোন কেনার প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে খুচরো দোকান খুলে পাইকার এবং ডিলারদের মতো মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে একটি সরাসরি বিক্রয় চ্যানেল তৈরি করতে পারে অ্যাপল। এর ফলে ক্রেতা তুলনামূলক ভাবে কম দামে আইফোন কেনার প্রত্যাশা করতেই পারেন। চাহিদা বাড়লে বাড়তে পারে উৎপাদন। সেক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেলে দামও কিছুটা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: Home loan নেওয়ার সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.