
একাধিক আন্তর্জাতিক রুটে নিজেদের উড়ানের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। মানিকন্ট্রোলে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, সংস্থাটি ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং কাতারের মতো বেশ কিছু দেশে ফ্লাইটের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানকর্মী ও বিমানের অভাবের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া
এ প্রসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সপ্তাহে একদিন, দিল্লি থেকে মাস্কাট, দিল্লি থেকে দুবাই এবং দিল্লি থেকে আবুধাবির মধ্যে যাতায়াত করা উড়ানগুলি বাতিল করা হচ্ছে। এপ্রিলের শেষ থেকে মে পর্যন্ত সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকবে এই সব উড়ান। এই বিষয়ে সংস্থার আধিকারিক জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস নিজেদের নেটওয়ার্ক পুনর্বিন্যাস করছে। যে কারণে অনেক রুটে সাময়িক ভাবে উড়ান পরিচালনা বন্ধ রাখতে হয়েছে দুই বিমান সংস্থাকে।
কোন রুটে কতদিন বন্ধ
এ ব্যাপারে ট্রাভেল এজেন্টদের জন্য একটি সার্কুলার জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। জানানো হয়েছে, ২৯ এপ্রিল থেকে ২৭ মে পর্যন্ত দিল্লি এবং মাস্কাটের মধ্যে সাপ্তাহিক উড়ান চলাচল করবে না। দিল্লি এবং দোহার মধ্যে ৩০ এপ্রিল থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না। দিল্লি এবং দুবাইয়ের মধ্যে সাপ্তাহিক উড়ান ২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পরিচালিত হবে না। একই সময়ে, বুধবার দিল্লি এবং আবুধাবির মধ্যে চলাচলকারী উড়ানটিও ৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
স্বেচ্ছাবসর এবং কর্মী ঘাটতি
মার্চের শুরুতে, এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন জানিয়েছিলেন, পাইলট এবং ক্রু সদস্যের অভাবের কারণে, কিছু মার্কিন রুটে ফ্লাইটের সংখ্যা হ্রাস করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এয়ার ইন্ডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাইলট এবং ক্রু সদস্যের ঘাটতি রয়েছে। ২০২২ সালের জুনে দেড় হাজার জন বিমানকর্মী স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন। তার পর থেকেই এয়ারলাইন্সে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। সেই অভাব মেটাতে একটা বড়ো সংখ্যক কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
নিয়োগ পরিকল্পনা
চলতি বছরে ৪,২০০ কেবিন ক্রু এবং ৯০০ পাইলট নিয়োগ করতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। নিজের বহর এবং অপারেশনাল নেটওয়ার্ক প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এই বিমান সংস্থা। ইতিমধ্যেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের কাছ থেকে ৪৭০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে সংস্থা। আর তার পরই পাইলট ও বিমানকর্মী মিলিয়ে ৫,১০০ জনকে নিয়োগের এই পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন: নকল প্রোডাক্ট বাজেয়াপ্ত করতে টাটা স্টিল ব্র্যান্ড প্রোটেকশন টিম ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযান