নয়াদিল্লি: চলতি বছরে ৯০০ পাইলট নিয়োগ করতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া। সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছে বিমান সংস্থা। গত এক সপ্তাহে পাইলটে পদে নিয়োগের জন্য ৭০০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানাল এয়ার ইন্ডিয়া।
বর্তমানে ১ হাজার ৮০০-র বেশি পাইলট রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ায়। বোয়িং এবং এয়ারবাসের সঙ্গে ওয়াইড-বডি প্লেন-সহ ৪৭০টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে সংস্থা। সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই পাইলট ও বিমানকর্মী মিলিয়ে ৫,১০০ জনকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার ইনফ্লাইট সার্ভিসের প্রধান সন্দীপ ভার্মা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নতুন প্রতিভা অন্তর্ভুক্ত করা এয়ারলাইনে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের গতিকে ত্বরান্বিত করবে। তিনি আরও বলেন, পাইলট ও রক্ষণাবেক্ষণ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগেরও পরিকল্পনা করছে সংস্থা। টাটার কেবিন ক্রুদের নিরাপত্তা এবং পরিষেবা দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ১৫ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাঁদের ভারতীয় আতিথেয়তা এবং টাটা গ্রুপের সংস্কৃতির জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশ্বমানের এয়ারলাইন হওয়ার মিশনের অংশ সাম্প্রতিক এই দুটি পদক্ষেপ। টাটা কয়েকদিন আগে বোয়িং এবং এয়ারবাসের কাছ থেকে ৪৭০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে। এর মধ্যে ৭০টি বড়ো বিমানও রয়েছে।
বিমান সংস্থাটিকে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অধিগ্রহণ করে টাটা গোষ্ঠী। এর আগে তারা ৩৬টি বিমান লিজ দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে এবং এবং যার মধ্যে দুটি বোয়িং-৭৭৭-২০০এলআর ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। বাকিগুলি এ বছরের মধ্যেই ধাপে ধাপে চলে আসতে পারে। এর পর ফ্রান্স এবং আমেরিকা থেকে ধাপে ধাপে আসবে নতুন কেনা বিমানগুলি। সে কারণেই চলতি বছর ট্রেনি পাইলট এবং বিমানকর্মী নিয়োগ করতে চাইছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’ চলাকালীন ফ্রান্স থেকে ২৫০টি যাত্রিবাহী এয়ারবাস বিমান কেনার চুক্তি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। যার চুক্তিমূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি, আমেরিকার বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িংয়ের থেকে ৩,৪০০ কোটি ডলারে ২২০টি বিমান কেনার চুক্তি হয়েছে। এর চুক্তিমূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পাইলটরা লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ সময় মতো না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার