নকল প্রোডাক্ট বাজেয়াপ্ত করতে টাটা স্টিল ব্র্যান্ড প্রোটেকশন টিম ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযান

tata steel

কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাহায্যে টাটা স্টিলের কর্মকর্তারা সম্প্রতি কলকাতায় অবস্থিত একটি গুদামে হানা দেন।

১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে টাটা স্টিলের কর্মকর্তারা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কলকাতায় অবস্থিত একটি গুদামে হানা দেন টাটার ব্র্যান্ড নেম ব্যবহার করা এবং বেআইনিভাবে নকল টাটা বিয়ারিং প্রোডাক্ট বানানো ও বিক্রি করার অভিযোগে। টাটা বিয়ারিং ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টগুলো এক অনন্য উপায়ে প্যাকেজ করা হয় এবং সমস্ত আসল প্রোডাক্ট একই প্যাকেজিং সমেত শুধুমাত্র অনুমোদিত ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমেই বিক্রি করা হয়।

এই প্রোডাক্টগুলো বানানো এবং বিক্রি করা হয়েছিল রেজিস্টার্ড ‘টাটা’ ট্রেডমার্কসহ একইরকম দেখতে প্যাকেজিংয়ে, যাতে ক্রেতাদের ফাঁকি দিয়ে বিশ্বাস করানো যায় যে তাঁরা আসল টাটা প্রোডাক্টই কিনছেন।

এই অসাধু কাজের খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের সঙ্গে টাটা স্টিল ওই গুদামে হানা দেয় এপ্রিল ১০, ২০২৩ তারিখে এবং বিপুল পরিমাণ টাটা বিয়ারিং আউটার বক্স, প্যাকেজিং সামগ্রী, দামের লেবেল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট জিনিস। এর জন্য দায়ী পক্ষকে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর সেকশন ১২০বি, ৪২০ এবং কপিরাইট আইন ১৯৫৭-র সেকশন ৬৩, ৬৫ অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়েছে।

টাটা স্টিলের প্রোডাক্টগুলোর ক্রেতাদের মধ্যে দারুণ সুনাম রয়েছে সেগুলোর গুণমানের কারণে। জাল প্রোডাক্টে এই ব্র্যান্ড নেমের অননুমোদিত ব্যবহার টাটা স্টলের পরিচিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

টাটা স্টিল পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ট্রেডমার্ক এবং লোগোর অপব্যবহারের কড়া নিন্দা করছে। নিজের পরিচিতি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে টাটা স্টিলের ব্র্যান্ড প্রোটেকশন টিম ক্রমাগত মনিটরিং চালাচ্ছে এবং জালিয়াত সমেত যারা ব্র্যান্ডের বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই ধরনের সমস্ত বেআইনি কাজ, যা টাটা স্টিলের সম্পদ এবং ক্রেতাদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, টাটা স্টিল তাদের উপর নজর রেখে যাবে এবং ব্যবস্থা নেবে। কোম্পানি ক্রেতাদের শুধুমাত্র অনুমোদিত ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকেই টাটা স্টিল প্রোডাক্ট কিনতে অনুরোধ জানাচ্ছে, যাতে প্রোডাক্ট যে খাঁটি সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায়।

আরও পড়ুন: শুক্রবার বন্ধ স্টক মার্কেট, জানুন কী কারণে

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.