প্রথম বার আইটিআর ফাইল করছেন? এই ৫টি বিষয় মাথায় রাখুন

calculator

আপনি যদি প্রথম বার আয়কর রিটার্ন (ITR) দাখিল করেন, তা হলে আইটিআর ফাইল করার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।

কোনো বেতনভোগী ব্যক্তি এবং করদাতাদের জন্য (যাদের অ্যাকাউন্ট অডিট করার প্রয়োজন নেই) আইটিআর ফাইল করার সময়সীমা ৩১ জুলাই। যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আইটিআর ফাইল না করা হয়, তা হলে ১,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হবে। যা আইটিআর দাখিল করার আগে পরিশোধ করতে হবে। চূড়ান্ত কর দায় শূন্য হলেও এই ফি বা জরিমানা দিতে হবে।

১. ধারা ৮০সি-তে করছাড়

এই ধারার আওতায় করদাতা নিজের করযোগ্য আয় কাটাতে পারবেন। এই ধারার অধীনে, একজন ব্যক্তির মোট বেতন থেকে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১.৫ টাকা কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, আপনি যদি নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে ট্যাক্স দিতে চান, তা হলে এই ছাড় পাবেন না।

ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস), ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ইএলএসএস), পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম) ইত্যাদির অধীনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০সি ধারায় করছাড় পাওয়া যায়।

২. কর ব্যবস্থা

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৩ সালের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেছিলেন, নতুন কর ব্যবস্থায়, আপনাকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো রকমের আয়কর দিতে হবে না। এই ক্ষেত্রে, সরকার ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ট্যাক্স রিবেট পাওয়া যায়। নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ স্ল্যাবে ২০ শতাংশ এবং ১৫ লক্ষ টাকার উপরে সর্বোচ্চ হারে ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।

পুরনো কর ব্যবস্থা অনুসারে, ৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কোনো কর দিতে হয় না কারণ ১২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। পুরনো কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, এখন ৩ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কোনো কর দিতে হবে না। অন্যদিকে, ৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ৫ শতাংশ, ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ১০ শতাংশ, ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ১৫ শতাংশ, ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে ২০ শতাংশ। ১৫ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।

৩. ফর্ম ১৫জি/১৫এইচ

এই ধরনের ফর্ম তাঁরাই জমা করে থাকেন, যাঁদের আয় করযোগ্য সীমার নীচে। এই ফর্মগুলি সাধারণত করদাতারা এপ্রিল মাসে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দেন। ফর্ম ১৫জি অথবা ফর্ম ১৫এইচ (প্রবীণ নাগরিকদের জন্য) স্ব-ঘোষণাপত্রের ফর্মগুলি এটাই উল্লেখ করে যে, কোনো ব্যক্তির আয় করযোগ্য সীমার থেকে নীচে। টিডিএস যে তাঁদের আয় থেকে কেটে নেওয়া হয়নি, তা নিশ্চিত করার জন্য এগুলি জমা দেওয়া হয়।

৪. খরচের হিসেব

প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত নিজের খরচের হিসাব রাখা। আপনাকে অবশ্যই আপনার খরচের রেকর্ড রাখতে হবে যাতে আপনি যোগ্য করছাড়ে দাবি করতে পারেন এবং আপনার করযোগ্য আয় কমাতে পারেন।

৫. সময়মতো আয়কর দাখিল

জরিমানা এবং সুদের চার্জ এড়াতে আপনাকে অবশ্যই সময়মতো আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়কর দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর পরামর্শ মতো এই কাজটি করতে পারেন।

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.