বিবি ডেস্ক: দেশের একটা বড়ো অংশের মানুষের কাছে এখন সঞ্চয়ের অন্যতম গন্তব্য পোস্ট অফিসের প্রকল্পগুলি। এগুলি যেমন ঝুঁকিমুক্ত, তেমনই অপেক্ষাকৃত উচ্চ হারে সুদ এবং করছাড়ের সুবিধা। যে কোনো আয়, যে কোনো বয়সের এবং শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিলিয়ে সবার কাছেই পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাওয়া অনেক সহজ বলে মনে করা হয়।
কোথায় সঞ্চয় করবেন
যে কোনো জায়গায় সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেই প্রথমেই মাথায় আসে দু’টি বিষয়। একটি, নিরাপত্তা এবং অন্যটি সুদের হার। সে দিক থেকে যাঁরা সঞ্চয়ের জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তাঁদের এখন অন্যতম গন্তব্য হতে পারে ডাকঘর।
পোস্ট অফিসে একাধিক সঞ্চয় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। যেগুলির মধ্যে একটি হল পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কিম (Post Office Savings Account/SB)। যেখানে আপনার আমানতের নিরাপত্তার ঝুঁকি সম্পূর্ণ শূন্য। সুদের হার তুলনামূলক ভাবে অন্য জায়গার থেকে বেশি।
টাকা জমা করার পরিমাণ
শুধুমাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। পোস্ট অফিসের এই স্কিমে জমা করা টাকার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তার উপর সর্বনিম্ন ৫০ টাকাও তোলা যায় এই অ্যাকাউন্ট থেকে।
কারা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন
১৮ বছরের বেশি বয়সি যে কোনো ব্যক্তি পোস্ট অফিসের এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। গ্রাহকের বয়স ১৮ বছরের কম হলে, সে অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। তবে এক জন ব্যক্তি শুধুমাত্র একটা অ্যাকাউন্টই খুলতে পারেন। এ ছাড়া যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও এই স্কিমে পাওয়া যায়।
কত টাকা সুদ পাওয়া যায়
পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট হোল্ডার একক বা যৌথ যে কোনো ধরনের অ্যাকাউন্ট খুললে বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে সুদ পান। আয়কর আইনের ধারা ৮০টিটিএ- র অধীনে, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সমস্ত সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুদ করযোগ্য আয় থেকে মুক্ত। যদি মাসের ১০ তারিখ থেকে মাসের শেষের মধ্যে ব্যালেন্স ৫০০ টাকার কম হয়, তা হলে কোনো সুদ পাবেন না গ্রাহক।
পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টে অন্যান্য সুবিধা
১) চেকবই, ২) ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং/মোবাইল ব্যাঙ্কিং, ৩) এটিএম কার্ড, ৪) আধার সিডিং, ৫) অটল পেনশন যোজনা, ৬) প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং ৭) প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা। তবে এই সুবিধাগুলি পেতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসে নির্ধারিত ফর্ম জমা করতে হবে।
আরও পড়ুন: গৃহঋণে ইএমআই বাড়ছে, ঝামেলা এড়াতে চাইলে কী করবেন, জানুন পদ্ধতি