বিবি ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI) রেপো রেট বাড়ানোর পরে, গৃহঋণে (home loan) সুদের হার আবারও বাড়ছে। ক্রমশ বেড়ে চলা অতিরিক্ত সুদ যাতে আপনার জন্য মাথাব্যথার কারণ না হয় সেজন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ক্রমশ বাড়ছে আরবিআই রেপো রেট
৩০ সেপ্টেম্বর, শেষ বার মূল সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৯০ শতাংশ করেছে আরবিআই। রেপো রেট হল যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয় আরবিআই। গত মে মাসের পর থেকে এই নিয়ে চতুর্থ বার রেপো রেট বৃদ্ধি করল আরবিআই। এর আগে, গত ৫ আগস্ট সুদের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
খুচরো বাজারে গত কয়েক মাস ধরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দাম বাড়ছে পণ্যের। সেই মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতেই এই রেপো রেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। সেই অনুযায়ী, আপনার ঋণের মাসিক কিস্তিও বাড়ছে।
কী ভাবে অতিরিক্ত সুদের বোঝা লাঘব হবে
ব্যাঙ্কগুলি সাধারণত মাসিক কিস্তি বা ইএমআই ( EMI)-এর পরিমাণ পরিবর্তন করে না কিন্তু ঋণ পরিশোধকে সহজ করতে ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে গ্রাহকের উপর কতটা বোঝা বেড়েছে, তা স্পষ্ট হয় না। প্রকৃতপক্ষে, অতিরিক্ত সুদ দীর্ঘ সময়ের জন্য দিতে হয়। তবে এমনও উপায় রয়েছে, যাতে ইএমআই-এ কোনো পরিবর্তন না হলেও অতিরিক্ত সুদের বোঝা লাঘব হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের দায় নিষ্পত্তি করা বুদ্ধিমানের কাজ। এটা বকেয়া মূল এবং সুদের খরচ কমানোর একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। একবারে কিছুটা ঋণ পরিশোধ করার জন্য টাকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতে হবে। যদি আপনার বেতন বৃদ্ধি পায়, আপনি বকেয়া বা বোনাস পান তা হলে আপনি তা নিজের ঋণ পরিশোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
ঋণের মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করুন
গৃহঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদের মধ্যে যে কোনো সময় পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া বছরে এক বার বকেয়া টাকার ৫ শতাংশ মিটিয়ে দিয়ে ঋণকে আরও কিছুটা সহজ করে নিতে পারেন। তা হলে একই সুদের হারে আপনার বকেয়া ব্যালেন্সের কমপক্ষে ৫ শতাংশ মিটিয়ে দিলে ঋণের মেয়াদও কমে যাবে।
এ ছাড়াও নির্ধারিত মাসিক কিস্তির থেকে আরও কিছুটা বেশি পরিমাণে প্রত্যেক মাসে টাকা জমা করলেও ঋণ সহজ হতে পারে। ধরুন, মাসে ২০ হাজার টাকা ইএমআই দিতে হয়। সেই জায়গায় ওই পরিমাণ বাড়িয়ে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা জমা দিলেন। অতিরিক্ত এই ১০ হাজার টাকা মূল পরিমাণের বিপরীতে সমন্বিত করা হবে। ফলে এই পদক্ষেপটি আপনাকে দ্রুত ঋণমুক্ত হতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিমা করাবেন? এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন