রূপসা ঘোষাল : প্রবল আর্থিক মন্দার জেরে টালমাটাল ভারতীয় অর্থনীতি। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশজুড়ে আকাশ ছুঁয়েছে জিনিসপত্রের দাম। বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। গত ১৫ মাসের মধ্যে রেকর্ড ছুঁয়েছে মূল্যবৃদ্ধি।
গত সেপ্টেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.৯৯ শতাংশ, যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অক্টোবরে তা দাঁড়িয়েছে ৪.৬২ শতাংশে। এই অবস্থায় বিগত ১৫ মাসের এই ৪.৬৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি আরবিআই এর রেপো রেট কমিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
রেপো রেট হল, যে হারে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্প-মেয়াদী তহবিল ধার করে। বর্তমানে রেপো রেট ৫.১৫ শতাংশ। চলতি বছরে পাঁচবার রেট রেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
খুচরো পণ্যের অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। ভারতীয় এই অর্থনীতি সামলাতে গিয়ে একদিকে শীর্ষ ব্যাংক হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব পড়েছে । ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্রেতা যে দামে সবজি কিনছেন চাষিরা তা পাচ্ছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ক্রেতা এবং চাষিদের মধ্যে দালাল চক্রও এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
সবজি বিক্রেতাদের একাংশের মতে আমদানিতে ঘাটতির কারণে জিনিসপত্রে দাম অ্ত্যাধিক বাড়ছে। আমদানি বাড়লে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা তাদের।
এদিকে মন্দার ছায়া পড়েছে দেশের শিল্পমহলেও। উৎপাদনে ঘাটতির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বরে ক্যাপিটাল গুডস-এর গ্রোথে ২০.৭ শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। প্রাইমারি প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে সেই গ্রোথের ঘাটতি ৫.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে দেশের শিল্পতপাদনের হার হ্রাসের ফলে ভারতের অর্থনীতির অবস্থার এই রুগ্ন চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।