নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মূল সুদের হার বা রেপো রেট নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
আরবিআই গভর্নর বলেন, রেপো রেট আপাতত উচ্চ স্তরেই থাকবে। এই উচ্চ স্তরে কত দিন বজায় থাকবে, তা শুধুমাত্র সময়ই বলতে পারে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় তাদের মূল সুদের হার বাড়িয়েছে।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কৌটিল্য ইকনোমিক কনক্লেভে বক্তৃতা করার সময় আরবিআই গভর্নর বলেন, জুলাই মাসে অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতি ৭.৪৪ শতাংশের উচ্চ স্তর থেকে মসৃণ পথে নীচের দিকে নেমে আসার প্রবণতা দেখাচ্ছে। সেটা নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক নীতিটি সক্রিয় ভাবে মূল্য সংযোজনমূলক হওয়া উচিত।
গত ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) তিন দিনের বৈঠক শেষে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন, আপাতত রেপো রেট না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মূল বেঞ্চমার্ক সুদের হার থাকছে ৬.৫০ শতাংশ।
তার আগেও, তিনটি বৈঠকেও রেপো রেট অপরির্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরবিআই। স্বাভাবিক ভাবে, পর পর তিনবার সুদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বড়োসড়ো স্বস্তি এনেছিল। কারণ, ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক দফায় ২৫৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল রেপো রেট।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, “এমপিসি মনে করেছে মুদ্রাস্ফীতির চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার বেশ কিছু অনুকূল ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, মুদ্রাস্ফীতির সূচক সিপিআই-এ সংযমে রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি, সরবরাহ বৃদ্ধির ব্যবস্থা এবং পূর্ববর্তী হার বৃদ্ধির পূর্ণ প্রভাবের সম্মিলিত প্রভাবগুলি অব্যাহত রয়েছে। এতেই ধারণা করা যায় যে আগামী মাসগুলিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।”
আরও পড়ুন: গাড়ি-বাইক কিনছেন? জানুন কোন ক্ষেত্রে কী হারে টিসিএস দিতে হবে