বুধবার ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (BSNL) জন্য 89,000 কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। প্যাকেজটি বিএসএনএল-এর ফোর-জি (4G) এবং ফাইভ-জি (5G) পরিষেবাগুলিকে উন্নত করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
সরকারি বিবৃতি অনুসারে, ইক্যুইটি ইনফিউশনের মাধ্যমে বিএসএনএল-এর জন্য ফোর-জি এবং ফাইভ-জি স্পেকট্রাম বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসএনএল-এর অনুমোদিত মূলধন ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হবে। সরকারের মতে, টেলিকম শিল্পের নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির হাল ফিরবে।
তবে, এটাই বিএসএনএল-এর পুরুজ্জীবনের জন্য প্রথম কোনো প্যাকেজ নয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাগুলিকে আরও লাভজনক সংস্থায় পরিণত করতে ফোর-জি এবং ফাইভ-জি পরিষেবা দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেবারও বিএসএনএল-এর জন্য একটি পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। প্যাকেজটিতে পরিষেবার অগ্রগতি এবং এর গুণমান, সংস্থার ব্যালেন্স শিট এবং অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
মে মাসে, টিসিএস (TCS)-এর নেতৃত্বাধীন একটি কনসোর্টিয়ামকে ১৫,০০০ কোটি টাকার অগ্রিম ক্রয় আদেশ জারি করেছে বিএসএনএল। ৩,৮৮৯ কোটি টাকার ফোর-জি টেলিকম সরজ্ঞাম সরবরাহের জন্য একটি চুক্তিও পেয়েছে আইটিআই লিমিটেড।
একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মোট অর্ডারটি ১৯,০০০ কোটি টাকার বেশি।” টিসিএস এবং একটি কনসোর্টিয়াম, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রযুক্তি উন্নয়ন সংস্থা সি-ডট (C-DoT)-সহ, বিএসএনএল-এর জন্য প্রায় ১,০০,০০০ ফোর-জি সাইট স্থাপন করবে।
এ ছাড়াও ভারত ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেড (BBNL)-কে বিএসএনএল-এর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে কেন্দ্র। এই সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে, বিএসএনএল ইউনিভার্সাল সার্ভিস বাধ্যবাধকতা তহবিলের (USOF) মাধ্যমে ১.৮৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে একটি অতিরিক্ত ৫.৬৭ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার পেয়েছে।
পাশাপাশি, বেসরকারিকরণের বদলে বিএসএনএল এবং মহানগর টেলিকম নিগম লিমিটেড (MTNL)-এর সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দুই সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য বন্ড ছেড়ে এবং সংস্থার সম্পত্তি বেচে টাকা তোলা হবে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে ১৫,০০০ কোটি টাকা তোলা হবে বন্ড ছেড়ে। আগামী চার বছরের মধ্যে ৩৮,০০০ কোটি টাকা তোলা হবে সম্পত্তি বেচে।
আরও পড়ুন: অবসরের পরেও আয়ের রাস্তা খোলা! দেখে নিন বিনিয়োগের এই ৫টি প্রকল্প