NPS গ্রাহকরা পাবেন অসাধারণ সুবিধা, নতুন পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রক সংস্থার

nps

জাতীয় পেনশন সিস্টেম অর্থাৎ এনপিএস (National Pension System, NPS)-এর গ্রাহকরা শীঘ্রই একটি দুর্দান্ত খবর পেতে চলেছেন। এনপিএস-এর অধীনে ন্যূনতম নিশ্চিত রিটার্ন স্কিম শুরু করতে চলেছে পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্থাৎ পিএফআরডিএ (Pension Fund Regulatory and Development Authority, PFRDA)। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন পিএফআরডিএ চেয়ারম্যান।

পিএফআরডিএ চেয়ারম্যান দীপক মোহান্তি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ন্যূনতম নিশ্চিত রিটার্ন স্কিম অর্থাৎ এমএআরএস (MARS)-এর অধীনে কাজ করছে পেনশন তহবিল নিয়ন্ত্রক। অদূর ভবিষ্যতে এটি শুরু করা যেতে পারে। যাইহোক, এটি এনপিএস গ্রাহকদের জন্য খরচও বাড়িয়ে দেবে। মোহান্তি জানান, ন্যূনতম রিটার্নের গ্যারান্টির কারণে গ্রাহকের ব্যয়ও বাড়বে।

সাম্প্রতিক সময়ে এনপিএস যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর অন্যতম কারণ কম খরচের পরিকাঠামো। তা ছাড়া এনপিএস গ্রাহকরা একটি বিনিয়োগের বিকল্প থেকে অন্য বিনিয়োগের বিকল্প বেছে নিতে পারেন। অ্যাকাউন্টধারীরা বিনিয়োগের জন্য অ্যাকটিভ অথবা অটো মোড বেছে নিতে পারেন। তবে ন্যূনতম রিটার্নের সঙ্গে গ্যারান্টি যোগ করে খরচ বাড়লে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পিএফআরডিএ চেয়ারম্যান মনে করেন, কম খরচের পেনশন তহবিলগুলির কাছে পর্যাপ্ত পুঁজি নেই। এগুলির সঙ্গে একটি গ্যারান্টি যুক্ত হলে দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে পারে। এক্ষেত্রে বাড়তি মূলধন আসবে।

তিনি আরও বলেন, নিশ্চিত রিটার্ন এতটাই আকর্ষণীয় রাখতে হবে যাতে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারে। এর পাশাপাশি খরচ ও ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে হবে। মোহান্তির মতে, ঝুঁকি, খরচ এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাটাই মূল লক্ষ্য হতে হবে।

ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS)

ন্যাশনাল পেনশন স্কিম হল একটি গ্যারান্টিযুক্ত পেনশন স্কিম। এতে বিনিয়োগ করে আপনি প্রতি মাসে অবসরকালীন পেনশন সুবিধা পাবেন। এই স্কিমের অধীনে, আপনি এনপিএস টায়ার-১ এবং এনপিএস টায়ার-২, দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা পাবেন। প্রথমটিতে ৫০০ টাকা এবং দ্বিতীয়টিতে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এনপিএসের বিশেষ সুবিধা হল আপনি অবসরকালীন তহবিল হিসাবে ৬০ শতাংশ এবং পেনশন হিসাবে ৪০ শতাংশ রিটার্ন পাবেন।

আরও পড়ুন: অবসরের পরেও আয়ের রাস্তা খোলা! দেখে নিন বিনিয়োগের এই ৫টি প্রকল্প

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.