২০২০ সালে বেসরকারি ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্ক (Yes Bank)-কে বেলআউট করেছিল ভারতের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)। জানা গিয়েছে, ইয়েস ব্যাঙ্কে নিজের অংশীদারিত্ব কমাতে পারে এসবিআই। আগামী ৬ মার্চ শেষ হতে চলেছে ইয়েস ব্যাঙ্কে এসবিআই-এর লক-ইন পিরিয়ড। তার পরেই অংশীদারিত্ব কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বরাবরের জন্য ইয়েস ব্যাঙ্কে অংশীদারিত্ব ধরে রাখার পক্ষে নয় এসবিআই। যে কারণে তারা পর্যায়ক্রমে নিজের অংশীদারিত্ব কমানোর কথা ভাবছে। অংশীদারিত্ব কমাতে এসবিআই-কে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (SBI) অনুমোদন নিতে হবে।
এর আগে ২০২০ সালে ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল এসবিআই। তবে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্টক এক্সচেঞ্জে জমা করা তথ্য অনুসারে, ইয়েস ব্যাঙ্কে এখন ২৬.১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের। তা যাইহোক, ইয়েস ব্যাঙ্কের বৃহত্তম স্টেকহোল্ডার কিন্তু এসবিআই। ইয়েস ব্যাঙ্কের বেলআউট প্ল্যান অনুসারে, মূলধন জোগানোর তারিখের ৩ বছর পর্যন্ত এসবিআই নিজের অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশের নীচে নামাতে পারবে না।
৪৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের সময় ইয়েস ব্যাঙ্কের পুরনো বোর্ড ভেঙে দেয় এসবিআই। তখন এসবিআই-এর পাশাপাশি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি বেলআউটের মূলধন জোগান দিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক সংকট থেকে মুক্তি দেয়। বেলআউট প্ল্যানের নিয়ম অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট কেনা শেয়ারের ৭৫ শতাংশ তিন বছরের জন্য ধরে রাখা জরুরি। এই নিয়ম খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল।
উল্লেখ্য, বেলআউট হচ্ছে আর্থিক সংকটের সময়ে আর্থিক সহায়তা দানের মাধ্যমে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোনো দেশের অর্থনীতিকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। তিন বছর আগে বড়সড় আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছিল দেশের চতুর্থ বেসরকারি ব্যাঙ্ক ইয়েস ব্যাঙ্ক। সেই ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সক্রিয় হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, এসবিআই ও অর্থমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে তদন্ত কমিটি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন গৌতম আদানি
Discover more from banglabiz
Subscribe to get the latest posts sent to your email.