পুরনো পেনশন স্কিম নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কতা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

pension

পুরনো পেনশন স্কিম নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্কতা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। পুরনো পেনশন স্কিম নির্ভরতার বিষয়ে ভাবতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিপোর্টে। বলা হয়েছে, এতে তাদের ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যাবে। যা অসহনীয় হয়ে পড়বে। নতুন পেনশন স্কিমের বদলে পুরনো পেনশন স্কিমের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নিজের রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরবিআই।

রাজ্য সরকারগুলির উদ্দেশে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরামর্শ, পুরনো পেনশন স্কিম নিয়ে জনসাধারণকে সামান্যতম উৎসাহিত করার কারণে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, পুরনো পেনশন স্কিম সরকারি কোষাগারের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হবে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কিছু রাজ্য পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহাল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং পঞ্জাব। এ ছাড়াও, কর্নাটকেও পুরনো পেনশন স্কিম আনা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, আরবিআই-এর তরফে রাজ্যগুলিকে নতুন পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

‘স্টেট ফিনান্সেস: অ্যা স্টাডি অফ বাজেট অব ২০২৩-২৪’ রিপোর্ট প্রকাশ করে, আরবিআই বলেছে, সমস্ত রাজ্য যদি পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনে, তাহলে তাদের উপর আর্থিক চাপ প্রায় সাড়ে চার গুণ পর্যন্ত বাড়বে। যা জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ২০৬০ সালের মধ্যে জিডিপির ০.৯ শতাংশে পৌঁছাবে।

আরবিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, যে রাজ্যগুলি পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহাল করেছে, সেগুলির মতো অন্যান্য রাজ্যগুলিও এটি আনার কথা ভাবতে শুরু করেছে। এমনটা হলে রাজ্যগুলির উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে এবং উন্নয়ন কাজে ব্যয় কমবে।

একইসঙ্গে আরবিআই-এর মতে, পুরনো পেনশন স্কিম একটি পিছিয়ে পড়া পদক্ষেপ। পেনশন সিস্টেমে যে সংস্কার এসেছে, তা যুগান্তকারী। কিন্তু পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনলে সেই লাভ অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, পুরনো পেনশন স্কিমের আওতায় থাকা সদস্যদের শেষ ব্যাচ ২০৪০ সালের প্রথম দিকে অবসর নেবেন এবং তাঁরা ২০৬০ সাল পর্যন্ত পেনশন পেতে থাকবেন।

আরও পড়ুন: ঋণ জটে জর্জরিত? ঋণ মকুবের ভুয়ো বিজ্ঞাপন নিয়ে সতর্কতা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.