খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরোধিতায় কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্ধে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে উত্তর ভারত। পঞ্জাব, হরিয়ানা আর উত্তরপ্রদেশে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে রেল চলাচল। রেল অবরোধ চলার ফলে জায়গায় জায়গায় থেমে গিয়েছে ট্রেন।
বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি হুমকির সুরে কেন্দ্রকে জানিয়েছে যে এই বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়বে।
কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূল, বামফ্রন্ট-সহ একাধিক বিরোধী দল। কৃষক বিক্ষোভ সব থেকে বেশি হচ্ছে পঞ্জাবে। বর্তমানে সে রাজ্যে কোভিড-বিধি জারি রয়েছে, যার ফলে এক জায়গায় চার জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন, শুক্রবার কোভিডবিধি কেউ লঙ্ঘন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো এফআইআর করা হবে না।
বিক্ষোভের ভয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তও। যদিও তাতে বিক্ষোভকারীরা দমে যাননি। এ দিন সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় সড়ক অবরোধ শুরু করেছেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি এ দিন বেশ অগ্নিগর্ভই রয়েছে বলা যায়।
ভারত বন্ধের প্রভাব সব চেয়ে বেশি পড়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানায়। পঞ্জাবের প্রায় প্রতিটি কৃষক সংগঠন ধর্মঘটে সাড়া দিয়েছে। কৃষকরা রেললাইনে বসে রয়েছেন। কৃষক সমাবেশে সমানে সমানে পুরুষ ও নারীরা।
পঞ্জাবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বাজারহাট, দোকানপাট বন্ধ। রাজ্যের শহরগুলির রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান।
পঞ্জাবের কৃষকরা বলেছেন, কোনো রকম রাজনৈতিক সমর্থন তাঁরা পান বা না-পান, তাঁদের লড়াই চলবে। তাঁরা বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের আমরা বিশ্বাস করি না। এটা আমাদের লড়াই এবং আমরা নিজেরাই লড়ব। ওঁদের কোনো প্রয়োজন নেই।”
প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানাতেও একই দৃশ্য চোখে পড়ছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গাতেও কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর জন্য বিভিন্ন কৃষক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক দলগুলির পাঁচশোরও বেশি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সংসদে প্রবল হট্টগোলের মধ্যে পাশ হয়ে যায় এই বিতর্কিত বিল। এই বিলের বিরোধিতা করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির শরিক অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর বাদল। এমনকি বিজেপির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে তারা।
বাংলাbiz-এ আরও পড়তে পারেন
তিন দফায় বিহারে ভোট, শুরু ২৮ অক্টোবর, গণনা ১০ নভেম্বর