বাংলাbiz ডেস্ক: টানা ছ’ দিন ধরে ক্রমান্বয়ে পতনের পর ধস কিছুটা আটকাল শুক্রবার!
শেষ ছ’ দিন ক্রমশ নীচের দিকে নামছিল এ দেশের শেয়ারবাজারের মূল সূচকগুলি। কিন্তু শুক্রবার ৮০০ পয়েন্টের বেশি উপরে উঠল সেনসেক্স। এর প্রধান কারণ দাম পড়ে যাওয়া স্টকে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিশ্ব-অর্থনীতির কিছু ইতিবাচক দিক। নিফটি ফিফটিও প্রায় ২৩০ পয়েন্ট (২.১৩ শতাংশ) বেড়ে আগের দিনের ক্ষয় পুনরুদ্ধারের প্রবণতা দেখাল।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শেষ ছ’ দিনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছিল ১১,৩১,৮১৫.৫ কোটি টাকা! শুক্রবার তাজা বিনিয়োগের জেরে অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে শেয়ার বাজার।
বিনিয়োগের অনুকূল আবহাওয়ার ধারণাকে সম্বল করে এ দিন নিফটি স্মলক্যাপ ১.৮৪ শতাংশ, নিফটি মিডক্যাপ ১.৬০ শতাংশ উপরে উঠেছে। অন্য দিকে ক্ষেত্রগত সূচকগুলির মধ্যে নিফটি আইটি এবং নিফটি ফার্মা শীর্ষে রয়েছে।
কেন বিনিয়োগ ফিরছে
রাতারাতি ভোল বদল করেছে আমেরিকার শেয়ারবাজার। আমেরিকার ডাউজোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনডেক্স, নাসদাক কম্পোজিট অথবা এসঅ্যান্ডপি৫০০-র উপরে ওঠার ইতিবাচক ইঙ্গিত থেকেই বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেখা যায়। সংশয়ের ঘোর কাটিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ক্রেতার দল টাকার থলি একটু একটু করে উপুড় করতে শুরু করেন। অন্তত ভারত-সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারগুলিতে শুক্রবারের সবুজ সংকেত তারই প্রমাণ।
একই সঙ্গে রয়েছে গত ছ’ দিনে সেনসেক্সের ২,৭৪৯.২৫ পয়েন্ট খোয়ানোর বিষয়টিও। বাজারের ‘জনপ্রিয়’ অসংখ্য স্টকের দাম এক সপ্তাহের মধ্যেই অনেকটা পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এড়ায়নি। অপেক্ষাকৃত কম দামে পছন্দের স্টক হাতের নাগালে পেয়ে বিনিয়োগকারীদের একাংশের মেজাজ এখন অনেকটাই ফুরফুরে।
এখন বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দু’ হাজার পয়েন্টের বেশি পড়েছে সেনসেক্স। এমন অবস্থাতেও নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না সংশোধন প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটেছে। ফলে নতুন করে স্টক কেনার ক্ষেত্রে মেপে পা ফেলাই ভালো।
বাজারের নজরে এখন আমেরিকার নতুন করোনা প্যাকেজ। ২ লক্ষ ২০ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার প্রস্তাব করেছে ডেমোক্র্যাটরা। আগামী সপ্তাহেই এ নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের এই প্রস্তাব যদি পাশ হয়ে যায় তা হলে বিশ্ব-অর্থনীতি তো বটেই, শেয়ারবাজারও জোরালো অক্সিজেন পাবে। তবে সবটাই বলবে সময়।
বাংলাbiz-এ আরও পড়তে পারেন
গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সাইবার-নিরাপত্তায় নজর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের