কলকাতা সহ দেশের ৭ প্রধান শহরে আবাসন বিক্রি বেড়েছে, চাহিদা কম দামের ফ্ল্যাটে

আবাসন শিল্প

বিবি ডেস্ক : আবাসন শিল্পে কী আবার গতি ফিরছে? সম্প্রতি জেএলএল ইন্ডিয়া এক রিপোর্ট সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে গত অর্থ বছরের একই সময় কালের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৮৩ শতাংশ।

এই বিক্রি বৃদ্ধির হার কলকাতা সহ দেশের সাতটি শহরে লক্ষ্য করা গিয়েছে।

কী কারণে বিক্রি বেড়েছে?

সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, তলনামূলক ভাবে কম কঠোর লকডাউন, টিকাকরণে গতি— এই বিক্রি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আবাসন বিক্রি আগের তিন মাসের তুলনায় ৬১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ওই তিন মাসে দেশের সাতটি শহরে মোট আবাসন বিক্রি হয়েছিল ১০,৭৫৩ ইউনিট।

তবে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাব অনেকটাই কম লেগেছ আবাসন শিল্পে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আগের ত্রৈমাসিকে তুলনায় ২০ শতাংশ কম বিক্রি হয়েছে। এই সময়কালে বিক্রি হয়েছে ১৯,৬৩৫ ইউনিট।

চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসেও আবাসন বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এই সময় ৪৫ হাজার ইউনিট আবাসন বিক্রি হয়েছে। যা গত বছর একই সময়কালের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।

জেএলএল দাবি করেছে, আবাসন শিল্পের বাজার আবার ফিরছে। ক্রেতারা আবাসন কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

তবে, এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল তুলনামূলক ভাবে কম দামের আবাসনের নির্মাণই বেশি হয়েছে চলতি বছরের প্রথমার্ধে।

জেএলএল ইন্ডিয়ার রেসিডেন্সয়াল হেড জানিয়েছেন, ‘‘চলতি বছরের প্রথমার্ধে যে সব আবাসনের নির্মান শুরু হয়েছে তার অধিকাংশরই দাম ১ কোটি টাকার নিচে। তাই আগামী দিনে ডেভলপাররা ১কোটি টাকার চেয়ে কম দামের আবাসন নির্মাণের উপরই জোর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম আবাসন বিক্রি হয়েছে মুম্বইয়ে। চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে মোট আবাসন বিক্রির তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য শহর।

মহারাষ্ট্র সরকারে স্ট্যাম্প ডিউটির হার কমানোই এর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর তালিকায় রয়েছে দিল্লি, পুণে, হায়দরাবাদ।

আরও পড়ুন

রাজ্য বাজেট: শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

সূত্র : এই সময়


Discover more from banglabiz

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Discover more from banglabiz

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading