
কয়েক দফায় একত্রীকরণ করা হয়েছে বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে। এতে হ্রাস পেয়েছে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা। এ বার ব্যাঙ্কগুলির একটি নতুন তালিকা তৈরিতে প্যানেল গড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ (Bank privatisation) করা যেতে পারে অথবা কোন ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ কৌশলের পুনর্বিবেচনা করা যায়, সে সবই খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বিনিয়োগ বিভাগে কাছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের সুপারিশ করেছিল নীতি আয়োগ। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এক সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে ইকনোমিকস টাইমস-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বেসরকারিকরণের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যার মধ্যে মাঝারি ও ছোটো আকারের ব্যাঙ্কগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অন্যান্য মাপকাঠির মধ্যে সেগুলির দুর্ভাগ্যজনক ঋণ পোর্টফোলিও এবং সেগুলির কর্মক্ষমতার উপর ভিত্তি করে শেয়ার বিক্রির পরিমাণ নির্ধারণ করা যেতে পারে।”
সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রটি বলছে, কমিটিতে বিনিয়োগ ও পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (DIPAM), ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এবং নীতি আয়োগের আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ এজেন্ডায় রয়েছে। কিন্তু এখন সব ব্যাঙ্কই লাভজনক হয়ে উঠেছে। তাই সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সুদের উপর ভিত্তি করে কোন ব্যাঙ্ককে তালিকায় রাখা যেতে পারে এবং এই ধরনের অন্যান্য কারণগুলির একটি পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন।”
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ কর্মসূচি মূলত ছোটো ব্যাঙ্কগুলিকে সামনে রেখেই পরিচালিত হতে পারে। থাকতে পারে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র এবং ইউকো-র মতো ব্যাঙ্কগুলি। তবে বড়ো ব্যাঙ্কগুলির উপর আপাতত দৃষ্টিপাত করা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে গুগল বার্ড কী ভাবে ব্যবহার করবেন, ধাপে ধাপে জানুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া