এফডি-তে বিনিয়োগ লাভজনক, তবে অসুবিধাও রয়েছে

fd

ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডি (FD) এখন একটি জনপ্রিয় বিনিয়োগের মাধ্যম। নিজের সাধ্যমতোই বিনিয়োগ করা যায় এই সঞ্চয় প্রকল্পে। সুদের হারও যথেষ্ট আকর্ষণীয়। তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ফলে জনপ্রিয় এই বিনিয়োগ বিকল্প বেছে নেওয়ার আগে সেগুলি সম্পর্কেও জেনে রাখা ভালো।

২০২২ সাল থেকে ধাপে ধাপে মূল সুদের হার বা রেপো রেট (Rate) বাড়িয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রেপো রেট বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এফডি-তে সুদের হার বাড়িয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। পরিসংখ্যান বলছে, দু’বছর আগে যেখানে কোনো কোনো ব্যাঙ্কে এই সুদের হার ছিল ৬ শতাংশ, সেটাই এখন বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৮ শতাংশের উপরে।

অসুবিধাগুলো কী

তবে দুর্দান্ত এতটি বিনিয়োগ বিকল্প হওয়া সত্ত্বেও, ফিক্সড ডিপোজিটের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। খামতিও রয়েছে বেশ কয়েকটি। ফলে বিনিয়োগ করার আগে জেনে নিতে হবে অসুবিধাগুলো কী।

ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের প্রথম অসুবিধা হল এতে সুদের একটি নির্দিষ্ট হার রয়েছে। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক আপনার জন্য যে সুদ নির্ধারণ করেছে, তা স্থির থাকে। স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ডের মতো অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি যে সুদ পান তা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। এফডি-র মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীকে। অর্থাৎ, শেষ পর্যন্ত ওই নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাজার উপরে উঠলেও, রিটার্ন স্থির।

দ্বিতীয়ত, মেয়াদ পূরণের আগেই যদি এফডি-তে রাখা টাকা তুলে নিতে চান, তা হলে জরিমানাও দিতে হতে পারে। বিনিয়োগ করার পর আপনার টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লক হয়ে যায়। বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেগুলিকে মাঝখানে ভাঙাতে গেলে জরিমানা দিতে হয়।

এ ছাড়াও এফডি-তে যে সুদ পাবেন, তার উপর কর দিতে হবে। এফডি-তে কোনো ক্যাপিটাল গেইন্স মুনাফা নেই। ফলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ লোকসানের মুখোমুখি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত এফডি-কে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে এটিও শুধুমাত্র ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপদ থাকে যতক্ষণ না ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়। ব্যাঙ্ক নিজেই ভেঙে পড়লে, আপনার এফডি যে বাঁচবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আরও পড়ুন: ভারতে গুগল বার্ড কী ভাবে ব্যবহার করবেন, ধাপে ধাপে জানুন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.