নয়াদিল্লি: শুক্রবারই প্রকাশিত হয়েছে ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল ২০২২ (Digital Personal Data Protection Bill 2022)। এর খসড়ায় প্রস্তাবিত বিধি লঙ্ঘনের জন্য বড়ো অঙ্কের জরিমানা ধার্য করার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জরিমানার অঙ্ক ৫০০ কোটি টাকা অবধি
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যমে সংগ্রহ করে রাখা তথ্য, যা আইনি বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আর প্রয়োজনীয় নয়, তা ডিলিট করে দিতে। তেমনই আবার তথ্য সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হলে ৫০০ কোটি টাকা অবধি জরিমানার কথাও বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে খসড়া ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিলে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা কোনো সংস্থার বিশ্বব্যাপী টার্নওভারের ৪ শতাংশের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। খসড়াটিতে ভারতের একটি ডেটা সুরক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিলের বিধি অনুযায়ী কাজ করবে।
অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে গ্রাহকের ডেটা ব্যবহার
ইউজার ডেটা সুরক্ষিত রাখার কোনো কার্যকর আইন সংবিধানভুক্ত না করার কারণে উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়েই। প্রযুক্তি সংস্থাগুলিও অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে গ্রাহকের ডেটা ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু এ বার হয়তো এই ক্ষেত্রে বড়োসড়ো একটা রদবদল দেখা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীর ব্যক্তিগত তথ্যাদির নিরাপত্তা বিষয়ে অধিক সতর্ক হয়ে উঠেছে।
খসড়াটি ডেটা ফিডুশিয়ারিদের জন্য একটি গ্রেডেড পেনাল্টি সিস্টেমের প্রস্তাব রেখেছে। যা শুধুমাত্র আইনের বিধি অনুসারে ডেটা প্রিন্সিপালদের ব্যক্তিগত ডেটা প্রক্রিয়া করবে। জরিমানা একই সেট একটি ডেটা প্রসেসরের জন্য প্রযোজ্য হবে – যেটি এমন একটি সত্তা হবে যা একটি ডেটা ফিডুশিয়ারি সংস্থার পক্ষে ডেটা প্রক্রিয়া করে।
ইউজারদের যাবতীয় অভিযোগ শুনবে বোর্ড
খসড়া বিলে বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করার আগে অবশ্যই সেই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ, গ্রাহকের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা কী কারণে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা গ্রাহককে জানাতে হবে। অন্য দিকে, প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষা বোর্ডের কার্যকলাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ইউজারদের যাবতীয় অভিযোগ শুনবে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবে। যদি কোনো আইন লঙ্ঘন হয়, তবে সেক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্কও ধার্য করবে এই বোর্ড।
আরও পড়ুন: সরকারি ব্যাঙ্কের শীর্ষপদে মেয়াদ বেড়ে ১০ বছর, জানুন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে কী প্রভাব পড়বে