বিবি ডেস্ক: বাড়িতে বসেই এখন একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) পোর্টাল থেকে। এই পোর্টাল থেকেই নিজের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য দেখে নিতে পারেন কোনো ইপিএফ সদস্য। আবার ক্লেম স্ট্যাটাসও জেনে নেওয়া যায় সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে।
কী ভাবে ক্লেম স্ট্যাটাস চেক করবেন
আপনি ইপিএফ পোর্টালে গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা তোলার আবেদন জানাতে পারেন। আপনি যদি পিএফ থেকে টাকা তোলার ‘দাবি’ করে থাকেন এবং সেই টাকা এখনও আপনার অ্যাকাউন্টে না পৌঁছোয়, তা হলে আপনি এখানে উল্লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই জেনে নিতে পারেন, আপনার টাকা কোথায় আটকে আছে?
১. প্রথমে EPF পোর্টালে যান।
২. এখন সার্ভিস ট্যাবের অধীনে ‘সার্ভিস’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. এর পরে, সার্ভিসের অধীনে ‘ক্লেম স্ট্যাটাস’-এ যান।
৪. ক্লেম স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে, পাসবুকের সঙ্গে পৃষ্ঠাটি খুলবে, যেখানে আপনাকে ইউএএন, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে।
৫. এখানে আপনি ‘ক্লেম স্ট্যাটাস’ অপশনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ বিবরণ দেখতে পাবেন।
ইপিএফ নিয়ে দরকারি কিছু কথা
বলে রাখা ভালো, কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের অধীনে, নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারী উভয়কেই পিএফ অ্যাকাউন্টে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করতে হয়। মোট মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার উপর ১২% হারে পিএফ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রতি মাসে টাকা জমা পড়ছে কিনা, সেটা পাসবুকের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যায়। কোনো ইপিএফ সদস্য খুব সহজেই ইপিএফ পোর্টাল বা উমঙ্গ অ্যাপের মাধ্যমে পাসবুক ডাউনলোড করতে পারেন। গচ্ছিত টাকার উপর সুদ দেয় সরকার। বর্তমানে ইপিএফে ৮.১০ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যম ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রেই যে কর্মীদের মাসিক মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা ১৫,০০০ টাকা বা তার নীচে, তাঁরাই শুধু পিএফের আওতায় পড়েন। কেউ যদি চাকরির শুরু থেকেই ১৫,০০০ টাকার বেশি বেতন পান, সে ক্ষেত্রে তিনি পিএফের আওতায় আসবেন না। অন্য দিকে, কেউ এর কম বেতনে যোগ দেওয়ার পরবর্তীতে তাঁর বেতন ১৫,০০০ টাকার সীমা ছাড়ালে সে ক্ষেত্রে ওই ১৫ হাজার পর্যন্ত মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার উপরই সংশ্লিষ্ট কর্মীর পিএফ কাটা হবে।
আরও পড়ুন: তথ্য সুরক্ষা আইনের নিয়ম লঙ্ঘনে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা!