বিবি ডেস্ক: হু হু করে বিকোচ্ছে দামি, ব্র্যান্ডেড জিনিস। তুলনায় কম বিকোচ্ছে সস্তার জিনিস। আর উৎসবের মরশুমে বিক্রির এই তারতম্যই বিক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
কী বলছে পরিসংখ্যান
রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (আরএআই) (RAI) পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দেশের খুচরো ব্যবসা ২০ শতাংশ মতো বেড়েছিল। আগস্টে সেই গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। গত বছরে একই মাসের তুলনায় বৃদ্ধির হার হয়েছে ১৭ শতাংশ। আর ২০১৯ সালের আগস্টের চেয়ে গত মাসে এই ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শতাংশ। গত মাসে বৃদ্ধির হার কমার জন্য সমাজের আর্থিক বৈষম্যকে দায়ী করছে আরএআই-এর রিপোর্ট।
উজ্জ্বল কিন্তু উজ্জ্বল নয়
দেশের খুচরো ব্যবসার পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে সমাজে নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটায় মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কথা জানিয়েছে আরএআই (RAI)। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে গত মাসে খুচরো বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আরএআই (RAI) জানাচ্ছে, দেশের চারটি অঞ্চলের আলাদা হিসাবে খুচরো ব্যবসা বৃদ্ধির হার যথেষ্ট ভাল। কিন্তু এই ‘উজ্জ্বল’তা যে যথেষ্ট উজ্জ্বল নয়, তারই প্রমাণ মিলল এ বার। বরং সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্যের ইঙ্গিত রয়েছে তার মধ্যে।
সংগঠনের সিইও কুমার রাজাগোপাল বলেন, ‘‘বেশির ভাগ পণ্যেরই দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোনো পণ্যের দামি মডেল ভালোই বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সস্তার ক্রেতা কম। যেমন, দামি টিভি বিক্রির চেয়ে কম দামি টিভির বিক্রি কম হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এতেই স্পষ্ট যে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা কেনাকাটা করছেন। নিম্ন আয়ের ক্রেতারা ততটা কেনাকাটা করছেন না। বিশেষত যেটা অত্যাবশ্যক নয়, সেই কেনাকাটায় তাঁরা ততটা আগ্রহী নন।
দু’বছরে কতটা পার্থক্য
আরএআই-এর সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালের আগস্টের চেয়ে গত মাসে সব চেয়ে বেশি বিক্রি বেড়েছে খেলার সরঞ্জামের। অন্যান্য ক্ষেত্রের মধ্যে জুতো (২৭%), খাদ্য ও মুদিপণ্য (১৮%), বস্ত্র (২০%), গয়না (২৩%), আসবাবপত্র ও গৃহসজ্জা (৯%), ভোগ্যপণ্য ও বৈদ্যুতিন (২৩%), প্রসাধনী ও সৌন্দর্য (২৫%)। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সস্তার পণ্যের চাহিদা তুলনায় কম ছিল বলে জানাচ্ছে তারা। উৎসবের মরসুমে সব ক্ষেত্রেই বিক্রিবাটায় কিছুটা গতি আসবে বলে আশা সংগঠনটির। তবে সেটা কতটা হয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: এই নিয়ে টানা তৃতীয় মাসে হ্রাস পেল পাইকারি মূল্য সূচক