বিবি ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটারের অফিসিয়াল মালিক হিসাবে তাঁর প্রথম কাজ শুরু করে দিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বৃহস্পতিবার তিনি টুইটারের বিভিন্ন প্রধান কর্মীদের বরখাস্ত করেছেন। ছাঁটাইয়ের তালিকায় টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল।
শীর্ষ আধিকারিকদের ছাঁটাই
জানা গিয়েছে মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পরেই টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, সিএফও নেড সেগাল, জেনারেল কাউনসেল শন এজেট এবং আইনী নীতি, ট্রাস্ট এবং নিরাপত্তার প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেছেন। এর আগে পরাগের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছিলেন ইলন মাস্ক।
টুইটারে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বলেছিলেন ইলন মাস্ক। টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। আর সেই কারণেই চুক্তি বাতিল করেন বলে দাবি করেন টেসলার কর্ণধার। টুইটারে বট, স্প্যাম অ্যাকাউন্টের নিষ্পত্তি না করলে চুক্তি করবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে পরাগ আগরওয়াল এবং মাস্কের মধ্যে তিক্ততা বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সংস্থার মালিক হতেই পরাগকে চাকরি থেকে বের করে দিলেন মাস্ক।
কেন এই পদক্ষেপ
২৭ অক্টোবর টুইটার অফিসে হেঁটে বেরানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করার শুক্রবারের সময়সীমার দুই দিন আগে বুধবার এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। মাস্ক তার টুইটার প্রোফাইলের বায়ো পরিবর্তন করে তার ব্যক্তিগত বিবৃতিতে ‘টুইট চিফ’ লিখেছেন। পাশাপাশি তিনি তার প্রোফাইলে তার লোকেশন পরিবর্তন করে টুইটার সদর দফতর করে দিয়েছেন।
বিবৃতি দিয়ে মাস্ক জানান, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। ‘মানবতার স্বার্থেই’ তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন মাস্ক। এ নিয়ে টুইটারে মাস্ক লিখেছেন, ‘‘কেন আমি টুইটার অধিগ্রহণ করলাম সে ব্যাপারে সকলকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’
বেঁকে বসেছিলেন মাস্ক
মাস্ক টুইটারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করার প্রচেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এরপরই সম্প্রতি তিনি জানান যে তিনি পূর্ব ঘোষণা মতো টুইটার কিনতে ইচ্ছুক। এই আবহে এবার টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করলেন ইলন মাস্ক। এর আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক টুইটারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন যে ৪৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির সময় টুইটারের তরফে তাঁকে সংস্থা সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে এই চুক্তি বাতিল না করে তা সম্পন্ন করার জন্য টুইটারের তরফে মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: আরও চাঙ্গা হবে ফ্লিপকার্টের ব্যবসা, ২০০ কোটি ডলারের বেশি ঢালছে ওয়ালমার্ট!