নয়াদিল্লি: ভারতে নিজের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ রিটেল জায়ান্ট ওয়ালমার্ট (Walmart)-এর। তারা বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট (Flipkart)-এ ২০০-৩০০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঢালছে বলে জানা গেছে। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই নতুন তহবিলের সঙ্গেই ফ্লিপকার্টের ভ্যালুয়েশন দাঁড়াবে ৪০০০ কোটি মার্কিন ডলারে।
তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য
গত বছরের জুলাই মাসে ভারতে ডিজিটাল কমার্স ইকোসিস্টেমের উন্নয়ন ও তাকে আরও শক্তিশালী করতে ৩৬০ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে ফ্লিপকার্ট গোষ্ঠী। যার ফলে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩৭৬০ কোটি জলার। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ফ্লিপকার্টের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের আনতে পারে ওয়ালমার্ট। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওয়ালমার্টের সর্বশেষ তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, বিনিয়োগ ব্যাঙ্কাররা কৌশলগত অংশীদার এবং বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সন্ধান করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক ব্যক্তির মন্তব্য উদ্ধৃত করে মিন্ট-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, “তহবিল শুধুমাত্র সম্পদ যোগ করার জন্য ব্যবহার করার জন্যই নয়। এর বাইরে, যেমন পরিপূরক কেন্দ্র (স্টোরেজ এবং গুদাম), নতুন ব্যবসা এবং কর্মশক্তি কিন্তু ভারতীয় ই-কমার্স স্পেসে সম্ভাব্য অধিগ্রহণের জন্যও তা ব্যবহার করা যেতে পারে”।
অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসায় ফ্লিপকার্টকে এগিয়ে রাখার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। তবে ফ্লিপকার্টের তরফে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস এই বিষয়ে জানতে চাইলে, সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা জল্পনা নিয়ে মন্তব্য করি না’। অন্য দিকে, ওয়ালমার্ট এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ভারতে ব্যবসা সম্প্রসারণের কারণ
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসা ভারতে ডিজিটাল কমার্সের ক্রমবর্ধমান ব্যবসার প্রতি তাঁদের আগ্রহের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। গত বছর জুলাইয়ে ওয়ালমার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও জুডিথ ম্যাককেনা বলেছিলেন, বিনিয়োগকারীরা ফ্লিপকার্টে বিশ্বাস করেন। এটি ভারতে ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাঁদের অভিপ্রায়কে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, ২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দীপাবলি সেলে ভারতের অনলাইন খুচরো প্ল্যাটফর্মটি প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকা আয় করেছে। পরিকল্পিত এই তহবিল সংগ্রহ ফ্লিপকার্টকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজন ইন্ডিয়া, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিও মার্ট এবং টাটা গ্রুপের সঙ্গে লড়াইয়ে আরও বল জোগাবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মীদের পিএফের আওতায় আনার দাবি, প্রস্তাব গেল রাজ্যের কাছে