বিবিডেস্ক: আমেরিকা এবং ইউরোপে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে নিজস্ব গাড়ি রয়েছে যথাক্রমে ৯৯০ এবং ৮৫০টি করে। সেই তুলনায় ভারতে এই হার মাত্র ২৮।
স্বাভাবিক ভাবেই দেশ জুড়ে নগরায়নের বিস্তার লাভের সময়ে দাঁড়িয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িতে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এগোলে ভবিষ্যতে সুফল মিলবে বলেই ধারণা করছেনন নীতি আয়োগের প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক অমিতাভ কান্ত। বুধবার তিনি বলেন, বৈদ্যুতিন গাড়িগুলির দাম আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে পেট্রোল চালিত ইঞ্জিনের গাড়িগুলির সঙ্গে প্রায় সমান হয়ে যাবে। কী ভাবে?
অমিতাভ জানান, মূলত ব্যাটারির দাম হ্রাস করার কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম অনেকটই সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ভারতকে এই রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ দেশে প্রতি এক জন মানুষের মধ্যে মাত্র ২৮ জনের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে। ফলে এখন থেকেই যদি বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর জোর দেওয়া যায়, তা হলে ভবিষ্যতে এর সুফল মিলবেই।
অমিতাভ বলেন, “ব্যাটারির দাম প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা (কেডব্লুিউএইচ)-য় ২৭৬ ডলার থেকে কমে ৭৬ ডলারে নেমে আসছে। এই বিষয়টির সঙ্গেই বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম নির্ধারিত হবে। সিআইআইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিতাভ বলেন, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম-ও পেট্রোল চালিত গাড়ির দামের সমান হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়িতে মূলত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। তাঁর কথায়, “আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি, যেখানে ভবিষ্যতে মানুষ বৈদ্যুতিক যানে চলাচল করবেন, এর জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে একাধিক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে”।
পড়তে পারেন: নির্দিষ্ট কয়েকটি ট্রেনের টিকিটে ২৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা রেলমন্ত্রকের
তাঁর মতে, “এই উদ্যোগ আরও আগে গ্রহণ করা উচিত ছিল। তবুও আশার কথা এই যে আমাদের তিন-চার চাকার গাড়ি এবং বাসগুলি ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিক হয়ে উঠছে। যা থেকে আমরা বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেলের খরচ বাঁচাতে সক্ষম হচ্ছি”।