ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই ওঠা-নামার পর এ বারের মতো পাকাপাকি ভাবে বিদায় নিল শীত। ফিরেছে ভ্যাপসা গরম। তাপমাত্রার পারদ বেড়েছে এক ধাক্কায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে পারে ফসলে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারত, গুজরাত, রাজস্থান, গোয়া ও কর্নাটকে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ থেকে ৯ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা। পশ্চিমবঙ্গেও দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে। মঙ্গলবার তাপমাত্রা বাড়ল আরও কিছুটা। এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও একই ছবি। সকাল থেকেই তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। সন্ধ্যায় একটু কম। রাতে ফের বাড়ছে গরম।
তবে তাপমাত্রা বাড়লেও কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে সকালের আকাশে দেখা মিলছে কুয়াশার। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলা গুলিতে সকালে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকছে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দিয়েই দিন শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই রকম থাকলেও দিনের তাপমাত্রা আগামী দু-তিন দিনে সামান্য বাড়বে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তার প্রভাব পড়তে পারে ফসল উৎপাদনে। কৃষি বিজ্ঞানীদের দাবি, এবারের শীতে মরসুমি ফসল মার খেয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায়। গাছের স্বাভাবিক সালোক-সংশ্লেষ প্রক্রিয়াই ব্যাহত হয়েছে। ফলনেও তার প্রভাব পড়েছে।
বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে এ বার শীতের মরশুমে পারদের খামখেয়ালিপনা এবং সরস্বতী পুজোর আগে অন্যবারের মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ায় ফসলের বৃদ্ধি যেমন মার খেয়েছে, তেমনই আগাছাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ডাউন পেমেন্টের টাকা না থাকলেও কী ভাবে ফ্ল্যাট কিনবেন?