মহামারির কারণে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এক বারেই সুদ মিটিয়ে দেওয়া হয় গত বার। এ বার কী হয়, সেটাই দেখার!
বাংলা বিজ ডেস্ক: দেশের ৬ কোটি মানুষের জন্য বৃহস্পতিবার একটি বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, এ দিনই ইপিএফের সুদের হার ঘোষণা করা হতে পারে। সুদের হার আগের বারের থেকে হ্রাস পাবে না কি বাড়বে, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে এ দিন।
এ দিন শ্রীনগরে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (সিবিটি) বৈঠক হওয়ার কথা। সেখান থেকেই ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এ বছর ইপিএফও গ্রাহকদের জন্য দু:সংবাদ আসার সম্ভাবনাও দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল।
তাদের মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পিএফের সুদের হার কমাতে পারে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। গত বছর করোনার মহামারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হ্রাস পেয়েছে, তাই এ বার সরকার সুদের হার কমাতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ সালেও ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। তার আগে ২০১৫-১৬ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ। তারও আগে ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৪-১৫ সালে এই সুদের হার ছিল ৮.৭৫ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই ২০১৬-১৭ সাল থেকে ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে ইপিএফে সুদের হার। শেষবার .১ শতাংশ বাড়ানো হলেও পুরনো জায়গায় ফেরেনি সুদের হার। একই সঙ্গে ২০২০ অর্থবর্ষে ফের একবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যদিও করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হারে কোপ পড়লেও নতুন করে ইপিএফের সুদে কাটছাঁট না হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছিল সদস্যদের।
কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা প্রতিটি আর্থিক বছরের জন্য পিএফ পরিমাণে সুদের হার ঘোষণা করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক ঘোষণা করে, পূর্ব নির্ধারিত ভাবেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে বার্ষিক ৮.৫ শতাংশ সুদ পাবেন প্রায় ছ’কোটি সদস্য। তবে প্রতিশ্রুতি মতো সুদ দেওয়া হলেও দু’টি কিস্তিতে তা দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তিতে ৮.১৫ শতাংশ দেওয়া হবে ও আগামী ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ০.৩৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। এক বারেই সুদ মিটিয়ে দেওয়া হয়। এ বার কী হয়, সেটাই দেখার!