এ বার মুখে-চোখে প্রমাণ! ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার নতুন নিয়ম

bank 1

নয়াদিল্লি: জালিয়াতি এবং কর ফাঁকি রোধে সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে কিছু কিছু বেসরকারি ও সরকারি খাতের ব্যাঙ্ক মুখের প্রমাণ ও চোখের আইরিস স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিছু ব্যাঙ্ককে বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট বার্ষিক সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিগত লেনদেন যাচাই করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, কয়েকটি বড়ো বেসরকারি এবং সরকারি ব্যাঙ্ক এই বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক ব্যাঙ্কারের মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই বিকল্প পদ্ধতিতে যাচাইকরণের অনুমতি দেওয়ার পরামর্শটি সর্বজনীন নয় এবং এর আগে রিপোর্টও করা হয়নি।

অর্থাৎ, এই ধরনের যাচাইকরণ পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হয়নি। সব গ্রাহকের জন্য যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক নয়। তবে প্যান কার্ড না দেওয়া হলে, আপনি যাচাই ছাড়া ব্যাঙ্কে লেনদেন করতে পারবেন না। নতুন ব্যবস্থা সেই ব্যক্তিদের যাচাই করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে যাঁরা শনাক্তকরণের প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি আর্থিক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি জমা করেন অথবা তোলেন।

তবে গ্রাহকদের মুখের শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য ব্যাঙ্কগুলির এই পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। একাংশের বিশেষজ্ঞের মতে, ব্যাঙ্কিংয়ে বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার কিছু গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যখন ভারতে গোপনীয়তা, সাইবার নিরাপত্তা এবং ফেস অথেন্টিকেশন সম্পর্কিত নির্দিষ্ট কোনো আইনের অভাব রয়েছে। সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ পবন দুগ্গালের মতে, ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্ত বড়ো চিন্তার কারণ হতে পারে আম-আদমির।

অন্য দিকে, নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বাধীন অর্থমন্ত্রক গত মাসে ব্যাঙ্কগুলিকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)-র একটি চিঠিতে “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা” নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যাতে ফেস অথেন্টিকেশন এবং আইরিস স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে যাচাইকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষত যেখানে আঙুলের ছাপ একজন ব্যক্তির প্রমাণীকরণ ব্যর্থ হয়, সেখানেই এই পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

অন্য একটি সূত্রের দাবি, পরিচয় নিশ্চিত করার পদ্ধতিটি এই প্রথম ব্যাপক ভাবে চালু করতে চলেছে সরকার। এ বার এটিই বৃহত্তরভাবে আসতে চলেছে। এখন কয়েকটি মাত্র ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চালু করে, পরে এটাই আরও বিস্তৃত হবে বলে ধারণা।

আরও পড়ুন: শিক্ষা ঋণ থেকে কর ছাড়, কী কী সুবিধা, শর্তই বা কী

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.