নতুন নির্দেশে হোটেল ব্যবসা আবার ধাক্কা খেতে পারে

কোভিড মোকাবিলা করতে গিয়ে চরম বিপর্যস্ত হয়েছিল এই শিল্প। সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও ফের ধাক্কা খেতে পারে।

বিবি ডেস্ক: ভারতে ফের নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নতুন করে জারি হচ্ছে বিধিনিষেধ। হোটল-রেস্তোঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মনে করছেন, সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করা এই ব্যবসা ফের ধাক্কা খেতে পারে।

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে প্রবল বিপর্যস্ত হয়েছিল আতিথেয়তা শিল্প। এখনও স্বাভাবিক না হলেও সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু শেষ কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাওয়ার দরুন একাধিক রাজ্য চাপানো হয়েছে বিধিনিষেধ। ফলে নিয়মের গেরোয় পড়ে ফের হাঁসফাঁস খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এই ক্ষেত্রটিতে।

গত ২৭ মার্চ থেকে রেস্তোঁরাগুলি রাত ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে হোম ডেলিভারি এবং রেস্তোঁরা থেকে খাবার কিনে বাড়িতে বসে খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।

এই সিদ্ধান্তটি হোটেল শিল্পের জন্য ‘বিপর্যয়কর’ হবে এবং এটা পুরোপুরি ভাবে বন্ধের দিকে নিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করে শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন, সরকারকে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করবেন তাঁরা।

শেষ সাড়ে তিন মাসের তুলনায় দিল্লিতেও নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেখানেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, কোনো বন্ধ জায়গায় বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একশো জনের বেশি আমন্ত্রণ করা যাবে না। খোলা জায়গায় হলে সংখ্যাটা দ্বিগুণ করা যেতে পারে। এর আগে বন্ধ জায়গায় এই সংখ্যাটা ছিল দু’শো।

দিল্লির একটি স্বনামধন্য লজ কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, “এপ্রিল মাসে বিয়ের জন্য একাধিক তারিখ রয়েছে এবং এই সময়ে বেশিরভাগ হোটেলেই ভালো ব্যবসা হয়”।

এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কয়েক কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে হোটেল শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ ভাবে ঘন ঘন বিধিনিষেধ চাপিয়ে দেওয়া হলে এই ব্যবসা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রেস্তোঁরাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা খোলা থাকবে না। এমনিতে লকডাউনের কড়াকড়ি সময়ে ৩০ শতাংশ রেস্তোঁরা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে জানা যায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪০,৪১৪ এবং দিল্লিতে ১,৮৮১। সব মিলিয়ে সারা দেশে এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা  ৬৮,০২০ ।

আরও পড়তে পারেন: এখন গাড়ি-বাইক রাখা আরও ব্যয়বহুল! কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ট্যাক্স চাপানোর জন্য প্রস্তুত, জানুন বিস্তারিত

বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখেন ১০ থেকে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিকরা। সমস্ত তথ্য যাচাই করে তবে বাংলাবিজে প্রতিবেদনগুলি লেখা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.